সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর দিনগুলোতে বৃষ্টি বিস্তর ভুগিয়েছে। বিশেষ করে শহর ও শহরতলী এলাকায়। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন মানুষ। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় ছিল দেখার মতো। অষ্টমী থেকে একাদশী পর্যন্ত আকাশের মুখ ভার ছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে শহরের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। অবশ্য এদিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলেও খবর। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, লক্ষ্মীপুজোতেও বৃষ্টি ভোগাতে পারে বঙ্গবাসীকে।
[রেড রোডে পুজো কার্নিভাল, এবার কী কী চমক থাকছে?]
জানা গিয়েছে, অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মাঝে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল। তা আরও শক্তিশালী হয়েছে। আর স্থান পরিবর্তন করে একেবারে পশ্চিমবঙ্গের আকাশেই তা বর্তমানে অবস্থান করছে। এর ফলেই উত্তরবঙ্গ-সহ অন্যান্য জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
পুজোয় বৃষ্টি যে হবে, সে খবর আগে থেকেই ছিল। হাওয়া অফিসের কর্তারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, পঞ্চমী-ষষ্ঠী থেকেই মেঘের আগমন ঘটবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। বিশেষ করে শহর কলকাতায়। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে নবমীর দিন। হাওয়া অফিসের আশঙ্কাই সত্যি হয়। নবমীর বৃষ্টির রেশ একাদশী ও দ্বাদশী পর্যন্তও ছিল। মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব যদি এভাবেই বজায় থাকে তাহলে বৃষ্টির আঁচ থেকে বাদ যাবে না শহর কলকাতাও। বৃষ্টি হতে পারে লক্ষ্মীপুজোতেও। ফলে পুজোর আগে বাজার করতে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন সাধারণ মানুষ। বিক্রিবাটাও কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে বিক্রেতাদেরও। তাই প্রকৃতির রুদ্রমূর্তি শান্ত হওয়ার প্রার্থনাই করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষই।
[দুর্গার বিসর্জনকে পথ ছেড়ে দিতে পিছোল মহরম]