Advertisement
Advertisement

Breaking News

বহুতল থেকে শিশুকে নিয়ে ঝাঁপ মা-দিদার, তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

পোস্তার ঘটনায় রহস্যের পর্দাফাঁস।

Reason behind Jump from high rise
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:November 15, 2018 7:56 pm
  • Updated:November 15, 2018 7:56 pm

অর্ণব আইচ: পোস্তায় আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই প্রথমে প্রৌঢ়া এবং পরে শিশু কোলে মা ঝাঁপ দেন। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চারতলায় রান্নাঘর লাগোয়া একটি টিনের চালে প্রথমে ঝাঁপ দেন ওই প্রৌঢ়া। কয়েক মিনিট পর একই জায়গা থেকে শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ঝাঁপ দেন ওই প্রৌঢ়ার মেয়েও। ঝাঁপ দেওয়ার আগে তিনি আবার চোখে কাপড়ের ফেট্টি বেঁধে নিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা পেয়ে গিয়েছে আড়াই বছরের শিশুটি। সাংসারিক অশান্তির কারণে ওই প্রৌঢ়া ও তাঁর মেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ২৪ ঘণ্টার পরও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি পোস্তার বটতলা স্ট্রিটের বাসিন্দারা।

[ চলন্ত অবস্থায় খুলে গেল চাকা! সল্টলেকে অটো উলটে শিশু-সহ জখম ৪]

Advertisement

বুধবার ভরসন্ধেবেলায় পোস্তার ১০ নম্বর বটতলা স্ট্রিটের এক বহুতল থেকে ঝাঁপ দেন মা, মেয়ে ও নাতনি। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাহান্ন বছরের সাহানি তাপাড়িয়া। তাঁর মেয়ে ইন্দিরা মোহতার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি মেডিক্যাল কলেজে ভরতি।  ইন্দিরার মেয়ে বছর আড়াইয়ের যুবকী অবশ্য আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে গিয়েছে। তবে ট্রমায় চলে গিয়েছে সে।  তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রাতভর মা ও দিদিমাকে খুঁজেছে যুবকী। চকোলেট ও বিস্কুট দেওয়া হলেও মুখে তোলেনি। শুধু জল খেয়েছে। শেষপর্যন্ত পুলিশের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে নিয়ে চলে যান দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়া।

Advertisement

কিন্তু, একরত্তি সন্তানকে নিয়ে কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন ইন্দিরা? তাঁর মা-ই বা কেন চারতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন? তদন্তকারীদের বক্তব্য, পোস্তার বটতলা স্ট্রিটে ওই বহুতলের চারতলায় স্বামী ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে থাকতেন সাহানি তাপাড়িয়া। বছর চারেক আগে একমাত্র মেয়ে ইন্দিরার বিয়ে হয়েছিল। তাঁর শ্বশুরবাড়ি মানিকতলায়। কিন্তু কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি চরমে ওঠে। আড়াই বছর আগে মেয়েকে নিয়ে পোস্তায় বাপেরবাড়িতে চলে আসেন ইন্দিরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ছেলে প্রতিবন্ধী। তার উপর বিবাহিতা মেয়েও ফিরে এসেছে বাপেরবাড়িতে। এই নিয়ে তাপাড়িয়া দম্পতির মধ্যেও নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। পুলিশের দাবি, সাংসারিক অশান্তিতেই বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন সাহানি তাপাড়িয়া ও তাঁর মেয়ে ইন্দিরা। প্রথমে ঝাঁপ দেন সাহানি। তারপর মেয়েকে কোলে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ইন্দিরাও।

ছবি: আশুতোষ পাত্র

[ কালীঘাটে প্রস্তাবিত স্কাইওয়াকের জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাজ্যের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ