Advertisement
Advertisement

ইস্তাহারে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি নয়, রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আরজি মুখ্যমন্ত্রীর

বহিরাগত আটকাতে বর্ডার সিল করার ভাবনা রাজ্যের।

Refrain from fake promises in manifesto: Mamata Banerjee urges political parties
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 27, 2018 8:43 am
  • Updated:August 24, 2018 6:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে ভোট ঘোষণা। একদিনেই হচ্ছে ভোট। মোটামুটি রমজান শুরু হওয়ার আগেই শেষ হচ্ছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। সব মিলিয়ে তৃপ্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, শান্তিতে ভোট হোক এটাই একমাত্র কাম্য। আর সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে তাঁর আরজি, ইস্তাহারে যেন কেউ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি না দেয়।

[  যে কোনও ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইনের দাবিতে অনশনে যুবক ]

Advertisement

একদফায় ভোট করতে গোড়াতে আপত্তি ছিল কমিশনের। অন্তত দু-দফায় ভোট চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রমজান শুরু হয়ে যাবে বলেই একদিনে ভোট করার পক্ষপাতী ছিল রাজ্য। তবে বড় বিষয় ছিল নিরাপত্তা। ৫৮ হাজারেরও বেশি বুথ। রাজ্যের হাতে সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে ৪৬ হাজার, লাঠিধারী পুলিশ ১২ হাজার। ফলত প্রতি বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে ধন্ধে ছিল কমিশন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় যে, নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সে দায়িত্ব রাজ্যের এবং রাজ্য তা পালন করবে। এরপরই একদফায় ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন।

Advertisement

বিরোধীদের মামলায় ভোটপ্রক্রিয়া বারবার ব্যাহত হয়েছিল। তা নিয়ে তিনি আগেও বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী তাই বলেন, “অবশেষে ভোট হচ্ছে। আমরাও খুশি। মানুষও চায় ভোটের মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হোক। আর আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হোক।” রমজান মাসে কোনওভাবেই ভোট চায়নি সরকার। বারবার সে কথা জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। সংখ্যালঘু মানুষ ওই সময় ভোটপর্বে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে আশঙ্কা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। রমজানের শুরুতেই ভোটের সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী তাই তৃপ্ত।

[  রাজ্যের প্রস্তাব মানল কমিশন, পঞ্চায়েত ভোট ১৪ মে ]

মনোনয়ন পর্বেই বীরভূমে বাইরের রাজ্য থেকে দুষ্কৃতী এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। তাতে নাম জড়িয়েছিল বিজেপিরও। শাসকদলের অভিযোগ ছিল, বিজেপিই ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে অশান্তি তৈরি করেছে। ভোটের দিন যাতে আর কোনও গোলোযোগ না হয় সেদিকে কড়া নজর মুখ্যমন্ত্রীর। বিজেপির নাম না করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “বাইরের রাজ্যের লোক নিয়ে এসে এই রাজ্যে অশান্তি বরদাস্ত করব না। বর্ডার সিল করছি। তার জন্য পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। আমরা চাই শান্তিতে ভোট হোক।” পাশাপাশি ইস্তাহারে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি না ছড়ানোরও আরজি জানান তিনি। উল্লেখ্য বিজেপির ইস্তাহারে বাংলাদেশের পুলিশ-বিএনপি সমর্থকের সংঘর্ষের ছবি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষার দিকেই বারবার জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও বাংলার মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, “গণতন্ত্রে নির্বাচন হোক। আমাদের পঞ্চায়েত গর্বের। অনেক ভাল কাজ করেছে। কুৎসা, অপপ্রচার, অশান্তি নয়। গণতান্ত্রিক লড়াই হোক। শান্তিতে ভোট হোক।” একদিনের ভোটে যাতে আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা না হয়, তা নিয়ে সতর্ক রাজ্য সরকার।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ