রমেন দাস: সাজা ঘোষণার আগের মুহূর্তে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলল অভয়ার ধর্ষক। এদিন নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করল সঞ্জয় রায়। তার দাবি, সে কিছুই করেনি। সিবিআই মেডিক্য়াল না করিয়েই তাকে হেফাজতে নিয়েছিল। এমনকী জোর করে বয়ানে সই করানো হয়েছে বলেও দাবি সঞ্জয়ের। এদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবীর কথায়, এই ঘটনা বিরলতম। ফলে মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সঞ্জয়ের আইনজীবী মৃত্যুদণ্ড নয়, বরং সংশোধনের সুযোগের আর্জি জানালেন।
গত শনিবার অভয়া কাণ্ডে (RG Kar Case) সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকেই গোটা দেশের নজর শাস্তির দিকে। সোমবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় শিয়ালদহ কোর্ট চত্বর। ঘড়ির কাঁটায় ১০ টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ সঞ্জয়কে আদালতে নিয়ে আসা হয়। বেশ কিছুক্ষণ কোর্টের লকআপে রাখা হয় তাকে। ১২ টা বেজে ৪২ মিনিটে কাঠগড়ায় তোলা হয় সঞ্জয়কে। এদিন তার সঙ্গে কথা বললেন বিচারক অনির্বাণ দাস। কড়া সুরেই বললেন, “নিজেকে নির্দোষ দাবি করা ছাড়া অন্য কিছু বলুন।”
এদিন ফের সঞ্জয় দাবি করল, সে নির্দোষ। ফের রুদ্রাক্ষ প্রসঙ্গ তুলে সঞ্জয় বলে, “আমি রুদ্রাক্ষের মালা পড়ি। যদি মিথ্যে বলতাম মালা ছিঁড়ে পড়ে যেত।” এসবের মাঝেই কাঠগড়ায় কেঁদে ফেলে সঞ্জয়। বারবার বলেন, “আমি নির্দোষ, আমি কিছু করিনি।” সিবিআই জোর করে বয়ানে সই করিয়েছে বলেও দাবি করে সে। পালটা বিচারক বললেন, “চার্জ প্রমাণিত। আপনি জানেন কী করেছেন। সব প্রমাণ রয়েছে।” অভয়া কাণ্ডকে বিরলতম ঘটনা বলে দাবি করে এদিনও দোষীর মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিকে সঞ্জয়ের আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী, কবিতা সরকার বললেন, মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে বিকল্প শাস্তি দেওয়া হোক। একটা সংশোধনের সুযোগ মিলুক। দুপক্ষের বক্তব্যের পর কী শাস্তি শোনাবেন বিচারক? তা জানা যাবে ২ টো বেজে ৪৫ মিনিটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.