স্টাফ রিপোর্টার: মরা হাতি লাখ টাকা! নিহত ফুল হাজার! স্রেফ কথার কথা নয়। এমনই দাম উঠছে ভালবাসার ম্যাসকটের। গোলাপি গোলাপ ক্রমশ ম্রিয়মাণ। একঘেয়ে ফুল কিনে কিনে ক্লান্ত বং যুগল। ‘অন্য কোনও রং নেই?’ প্রায়ই এমন প্রশ্ন শুনতে হয় ফুলের দোকানের কর্মীদের। এবার তাই ‘আনকমন’ সবুজ গোলাপেই দোকান সাজিয়েছেন অনেকে। দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কের ফ্লাওয়ার বুটিকের মালিক জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই বিশেষ সবুজ গোলাপ। ভ্যালেন্টাইনসের বাজারে এই গোলাপ রঙিন রাংতায় বেঁধে প্রেমিকার হাতে তুলে দিতে হলে মোটা রেস্ত খসবে। কত? তা প্রায় হাজার টাকার কাছাকাছি।
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ভালবাসার এ উপহারটি দিতে গেলে হাজারটি টাকাই খসবে পকেট থেকে। বুটিক মালিকের কথায়, ‘বেঙ্গালুরুর ডাচ গোলাপের চাহিদা বরাবরই বেশি। তার উপর সবুজ গোলাপ সমস্ত মাটিতে হয় না। এর জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এবার চাহিদার তুলনায় জোগানও কম। তার উপরে পরিবহণের খরচ। ফলে দাম বেড়ে দ্বিগুণ।’ প্রেমে গ্রিন সিগনাল পেতে হলে তাই খরচ করতে হবে এক হাজার টাকা।
[ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে প্রিয়জনকে দিন একটু অন্য ধরনের উপহার]
বেঙ্গালুরু ছাড়াও এ রাজ্যের মেদিনীপুর থেকেও চিরপরিচিত মিনিকুইন চলে এসেছে কলকাতার বাজারে। ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে গোলাপের চাহিদা বাড়ে। সে কথা ভেবেই লাখ লাখ গোলাপ হিমঘরে মজুত করেছেন চাষিরা। ফুল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কোল্ড স্টোরেজে বাতানুকূল যন্ত্রের তলায় গোলাপের পাপড়ি মজুত রাখতে হয়েছে। স্টোরেজে ভাড়া বাবদ মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে। রাজ্যের মাইশোরা, জানাবাড়, বাকুলদা, রায়তর গ্রামের গোলাপ ভিনরাজ্যে পাঠানো হয়েছে। এ রাজ্যে জোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় চোখ রাঙাচ্ছে মেদিনীপুরের মিনিকুইনও। জিএসটিতে দাম বেড়েছে ক্রিস্টাল শো পিস, প্রেমিকার ছবি দেওয়া টি শার্ট অন্য উপহারের। তবে বছরে একটা দিন প্রিয় মানুষটার জন্য এটুকু খরচ তো করতেই পারেন, তাইনা!
[‘ভ্যালেন্টাইনস’ সপ্তাহে বিশেষ মেনু সাজিয়ে হাজির শহরের রেস্তরাঁগুলি]