BREAKING NEWS

২৪ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ৮ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

যাদবপুরের সমাবর্তনে সম্মান প্রাপকদের বাছাই নিয়ে দ্বন্দ্ব, শেষ পর্যন্ত সম্মতি রাজ্যপালের

Published by: Sayani Sen |    Posted: October 18, 2019 2:23 pm|    Updated: October 18, 2019 4:19 pm

Row erupted in the second time visits of Governor Jagdeep Dhankhar

রিংকি দাস ভট্টাচার্য: বাবুল সুপ্রিয়ের হেনস্তার ঠিক মাসখানেকের মাথায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল। এদিনও আরও একবার রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার ইস্যু সমাবর্তনে কাদের ডি’লিট-ডিএসসি দেওয়া হবে আর কাদের নয়। সূত্রের খবর, শঙ্খ ঘোষ, সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় , সি এন আর রাও এবং সলমন হায়দার-সহ  চারজনের নাম প্রস্তাব করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সলমন হায়দারের ক্ষেত্রে আপত্তি জানান রাজ্যপাল তথা আচার্য। বাদানুবাদের পর যদিও সহমত পোষণ করেন জগদীপ ধনকড়। 

আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। তার আগে নিয়মমাফিক শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা কোর্টের বৈঠক ছিল। তাতেই নজিরবিহীনভাবে পৌরহিত্য করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ওই বৈঠকে ডি’লিট-ডিএসসি কাদের দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে  চারজনের নাম প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাজ্যপালকে জানানো হয় এই তালিকায় রয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ, আইএসআই-এর অধিকর্তা সংঘমিত্রা চৌধুরি, বিজ্ঞানী সি ভি রমন এবং সলমন হায়দার।

সূত্রের খবর, শঙ্খ ঘোষ, সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় , সি এন আর রাওয়ের ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি ছিল না বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের। তবে একমাত্র সলমন হায়দারের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে বলেন ধনকড়। যদিও কোর্টের সদস্যদের দাবি, সলমন হায়দারকেও সম্মানিত করতে হবে। রাজ্যপাল-বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সংঘাতের মাঝেই কোর্টের বৈঠকে ভোটাভুটি শুরু হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে জিতে যান সলমন হায়দার। তাঁকে কোর্টের প্রত্যেক সদস্যই সমর্থন করেন। এরপরই রাজ্যপাল জানান রাজভবনে গিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন তিনি। তবে কোর্টের সদস্যরা কিছুতেই তা মানতে রাজি হননি। তাই বাধ্য হয়ে শেষমেশ সায় দেন ধনকড়। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র একজন আচার্য হিসাবেই এই প্রস্তাবিত নামে সায় দিলাম।” কিন্তু কেন শুধুমাত্র সলমন হায়দারের ক্ষেত্রে বিরোধিতার সুর চড়ালেন রাজ্যপাল, সে বিষয়ে এখনও কোনও যুক্তি দেখাননি রাজ্যপাল। 

[আরও পড়ুন: সুপারি কিলার দিয়ে খুন! নিমতায় ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার হত্যাকাণ্ডে জেরা বান্ধবীকে]

এই বৈঠকের পরই নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা রাজ্যপালের কাছে একাধিক ইস্যুতে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। তবে স্মারকলিপি জমা নেননি তিনি। পরিবর্তে রাজভবনে গিয়ে দাবিপত্র জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে