Advertisement
Advertisement

Breaking News

আরপিএফ

ডাকাতি রুখতে নয়া উদ্যোগ আরপিএফের, এবার রাতের ট্রেনে থাকবে ‘নাইট হান্ট’ বাহিনী

বাংলায় পরপর ডাকাতির ঘটনা উদ্বিগ্ন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

RPF established night haunt unit in eastern railway.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 30, 2019 12:19 pm
  • Updated:June 30, 2019 12:19 pm

সুব্রত বিশ্বাস: বাংলায় পরপর ট্রেন ডাকাতিতে চরম উদ্বিগ্ন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশ নয় ডাকাত ধরতে হবে আরপিএফকে। রেল বোর্ড মারফত এই নির্দেশে পাওয়ার পরেই রীতিমতো রণকৌশল সাজিয়ে শনিবারই মাঠে নামল তারা। তৈরি করল নাইট হান্ট বাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে ডাউন সরাইঘাট এক্সপ্রেস ও শুক্রবার রাতে আপ গৌড় এক্সপ্রেসে এসি কামরায় ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সরাইঘাটে ডাকাতিতে বাধা দিলে লাইনের থেকে পাথর তুলে ওই যাত্রীকে মারে ডাকাতরা। ভয়াবহ রকমের জখম হন ওই যাত্রী। ডাকাতির স্থল গুসকরা থেকে ঝাপটের ঢালের মধ্যে। প্রায় একই জায়গায় ডাকাতিতে আরপিএফের কাছে যে বিষয়টি স্পষ্ট, তা একই গ্যাংয়ের কাজ। রেল বোর্ড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে কোনও উপায়ে ডাকাত ধরা চাই।

[আরও পড়ুন-আইন ভাঙলে পুলিশের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা, ওসিদের নির্দেশ সিপির]

আরপিএফ মাঠে নেমেই জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারে, ডাকাত দলে আনুমানিক আট সদস্য ছিল। তাদের মধ্যে তিনজন উঠেছিল অসংরক্ষিত কামরায়। এদের দায়িত্ব ছিল নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রেন এলেই চেন টেনে তাকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া। এরপর তিন সশস্ত্র ডাকাত এসি কামরায় আতঙ্ক ছড়িয়ে ফটাফট ব্যাগ ও যাত্রীদের সামগ্রী কেড়ে নিয়ে তা দরজা দিয়ে ছুঁড়ে দেয়। নিচে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য দু’জন ডাকাতির মাল ধপাধপ লুফে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে রেখে আসে। যাত্রীদের এই বিবরণে আরপিএফের কাছে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছে, রেল ডাকাতিতে যথেষ্ট অপটু এই গ্যাং। অস্ত্রের ব্যবহারের চেয়ে পাথর ছুঁড়ে মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে তারা। পাশাপাশি প্রায় একই জায়গায় বারবার ডাকাতি করে নিজেদের টার্গেটও করে ফেলছে।

Advertisement

আর তাদের ফেলে যাওয়া এই সূত্র ধরেই এগোতে চাইছে আরপিএফ। শনিবার এই ডাকাত দলকে হাতে পেতে ‘অপারেশন নাইট হান্ট’ নামের একটি টিম গঠন করে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের আরপিএফ ইউনিট। আর রাতেই সেই টিমের ৫২ জন সদস্যকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সিনিয়র কমান্ড্যান্ট। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে আপ এবং ডাউন প্রায় সব ট্রেনে তল্লাশি চালান। জানা গিয়েছে, এবার থেকে আরপিএফ থানাগুলির ইনচার্জরা নিজস্ব এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করবেন। আর ডাকাতির নির্ধারিত জায়গা গুসকরা থেকে ঝাপটের ঢাল এই এলাকাজুড়ে লাইনের কাছাকাছি থাকবে আরপিএফের সশস্ত্রবাহিনী। সম্প্রতি আরপিএফ যে হকার উচ্ছেদে হাত লাগিয়েছে তাতে অনেক ট্রেনেই হকারদের রুটি রুজিতে টান পড়েছে। তাই এই ঘটনা ঘটছে। আরপিএফের অভিজ্ঞমহলও এই ডাকাতদলের সব সদস্যই হকার বলে মনে করেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন-অবশেষে ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেল বেলুড় মঠ]

কারণ, দাগি ডাকাতদের ছবির সঙ্গে এই ডাকাতদলের সদস্যদের চেহারার মিল খুঁজে পাননি ডাকাতদের হাতে নিঃস্ব হওয়া যাত্রীরা। তবে দু’টি ডাকাতিতে নিঃস্ব যাত্রীদের দেওয়া বর্ণনাতে চেহারার মিল থাকায় এটা একই গ্যাংয়ের কাজ বলে নিশ্চিত আরপিএফ। দু’এক দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলেও মনে করছে তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ