সুপর্ণা মজুমদার: রাস্তা ছিল কঠিন। শুরুটাও তেমন ভাল হয়নি। কিন্তু মুখে মুখে ছড়াল কথা। সিনেমাটা দেখেছিস? আরে সহজ পাঠের গপ্পো! সত্যিই সারল্যের রং মনে ধরিয়ে দিয়েছে। সেই শুরু আর থামেনি পরিচালক মানসের স্বপ্ন। বাস্তবের পর্দায় ধীরে ধীরে উঠে গিয়েছে প্রত্যাশার সেই শৃঙ্গে, যা জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরও অব্যাহত। একটু নয় অনেকটা গর্ব নিয়ে ১০০ দিন পার করল কঠিন পথের এই সহজ গপ্পো। সেলিব্রেশন জমিয়ে হল বাংলা সিনেমার মক্কা অর্থাৎ নন্দনে।
[রাম-সীতার ‘ডিভোর্স’ কি মেনে নেবে সেন্সর? চিন্তায় পরিচালক রঞ্জন]
এই নন্দনের জন্য প্রথম থেকেই লড়াই করেছিলেন মানস। কিন্তু কারণে-অকারণে পাননি নবাগত পরিচালক। কিন্তু হাল ছাড়েননি জেদি মানুষটা। ছবি মুক্তির পরও পরিশ্রম করে গিয়েছেন। ফল তিনি এবারও পেয়েছেন। দর্শকদের মনে আগেই জায়গা করে নিয়েছিল সহজ পাঠের গপ্পো। এতদিনে নন্দনেও মিলল জায়গা। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও সমান তালে ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছে জীবনের এই সহজ পাঠ।
শুক্রবারই ছিল দর্শকদের ভিড়। শনিবার নূর-আলমের আসতে একটু দেরি হল। ততক্ষণ ব্যস্ত হয়ে অতিথি-দর্শক-মিডিয়া কূল সামলাতে দেখা গেল পরিচালক মানস মুকুল পাল ও প্রযোজক অভিজিৎ সাহাকে। দূর থেকে পরিচালককে দেখেই ‘কাকু’ বলে দৌড়ে এল নূর-আলম। হলদে চুড়িদারে সেজেগুজে হাজির স্নেহা বিশ্বাসও। এমন একটা ছবি আজও মানুষ সমান উৎসাহ নিয়ে দেখতে আসছেন। এটা নিয়ে চর্চা করছেন। এই জয় কেবল সহজ পাঠ-এর নয় বাংলা সিনেমার জয় বলেই মনে করেন মানস। এখন ক্যামেরার সামনে অনেকটাই সপ্রতিভ নূর ইসলাম। তবে সামিউল আলমকে এখনও ‘কাকু’র একটু নেপথ্যে থেকে মজা করে প্রমপ্ট করতেই হল। আগের থেকে একটু ব্যস্ততা বেড়েছে, তবে সিনেমার পর জীবন পালটালেও নিজে পালটাননি স্নেহা।
বিভূতিভূষণের যে ‘তালনবমী’ সনাতনী গ্রামবাংলার চালচিত্র তুলেছিল। ইট-কাঠ-পাথরের বুক চিরে সেই গ্রামের সারল্যকেই পর্দায় তুলে এনেছে মানস অ্যান্ড কোম্পানি। আজ সাফল্যের দিন। সেলিব্রেশনের দিন। কেক কাটার দিন। আবার নতুন করে সহজ করে স্বপ্ন দেখার দিন। এই তো শুরু!
ছবি সৌজন্যে – সরোজ দরবার
[‘রক্তের দাগ’ নিয়ে নেটদুনিয়ায় ফিরছে ব্যোমকেশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.