পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির Sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্কের পুজো প্রস্তুতি৷
সুলয়া সিংহ: কঠিন বাস্তবের মাটি ছেড়ে যদি এক লহমায় পৌঁছনো যায় স্বপ্নলোকে? যদি শহরের কর্মব্যস্ত ক্যাকোফনি আর দশটা-পাঁচটার চিন্তাকে দূরে ঠেলে প্রশান্তির রাজ্যে ঘুরে বেড়ানো যায়? কেমন হয়? মন্দ হয় না নিশ্চয়ই। কিন্তু এমন ইচ্ছেপূরণ কি সম্ভব? আলবাত সম্ভব। কারণ, দর্শনার্থীদের স্বপ্নলোকে বিচরণ করার প্রয়াসই এবার করছে সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক। যাদবপুর স্টেশন থেকে হাঁটাপথেই পৌঁছে যাওয়া যাবে দক্ষিণের এই মণ্ডপে। মেট্রো যাত্রীরা টালিগঞ্জ স্টেশনে নেমে অটোয় ৮বি বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস বা অটোয় সন্তোষপুর পৌঁছে যাবেন মণ্ডপের সামনে।
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সামগ্রী দিয়েই মণ্ডপে স্বর্গীয় স্বপ্নের পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছেন এ শহরের বিখ্যাত শিল্পী প্রশান্ত পাল। আর বিষয়বস্তুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই থিমের নাম রেখেছেন ‘স্বপ্ন হলেও সত্যি’। প্লাস্টিক শিট, গ্লু আর গ্লাস পেন্টের রংই মণ্ডপসজ্জার মূল উপাদান। প্লাস্টিক শিটের উপর গ্লু দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা কারুকার্য। মূলত কলমকারি চিত্র ধরা পড়েছে সেখানে। একইভাবে প্লাস্টিক শিটের উপর উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন দেবদেবীরা। এছাড়াও প্লাস্টিসের গ্লাস, বাটি রঙিন হয়ে উঠছে গ্লাস পেইন্টিংয়ের রঙে। তবে মণ্ডপের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আলো। আলো-আঁধারীর মায়াবী খেলাতেই জীবন্ত হয়ে উঠবে মণ্ডপ। আলোর রকমারি ব্যবহারেই স্বপ্নালোকে পৌঁছে যাবেন দর্শনার্থীরা। তাই আলোক শিল্পী জলধর মণ্ডল এবং শুভেন্দু লাহার কাঁধে এবার গুরু দায়িত্ব। মণ্ডপকে প্রাণবন্ত করে তোলার চাবিকাঠি তাঁদের হাতেই।
[কেমন হয় মহিলাদের ‘অন্তরমহল’, পুজোয় চেনাবে বেহালা নূতন দল]
শিল্পী প্রশান্ত পালের হাতে গড়া প্রতিমাতেও থাকছে কলমকারির ছোঁয়া। মায়ের ভক্তিময়ী রূপ বজায় রেখেই কলমকারি নকশায় অভিনব রূপ তুলে ধরা হবে। আর গোটা থিমকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিতে চলেছেন আবহশিল্পী সায়ন্তন গোস্বামী।
[ছুটিতে আর নয় ভিন রাজ্যে, পুজোর শহরে একটুকরো ভারত এবার আলিপুরে]
উদ্যোক্তাদের আশা, ত্রিকোণ পার্কের পুজোর ৬৮ তম বর্ষে স্বপ্নালোকে এসে মুগ্ধ হবেন দর্শনার্থীরা। যার স্মৃতি দীর্ঘদিন তাঁদের মনের মণিকোঠায় রয়ে যাবে। এর আগে বাঁশ দিয়ে তৈরি হাঁসের মণ্ডপ নজর কেড়েছিল। একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল এই পুজো। এবছর sangbadpratidin.in -এ সন্তোষপুরের এই কুলীন পুজোর যাবতীয় হালহকিকত জানতে পারবেন। ছবি, ভিডিওর জন্য চোখ রাখতেই হবে এখানে।