Advertisement
Advertisement

কলকাতার রাস্তায় উদ্ধার কিশোরীর রক্তাক্ত-অচৈতন্য দেহ, ধর্ষণের অভিযোগ পরিবারের

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি।

senseless and injured girlfound in city road, allegedly raped in friend's house
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 4, 2018 11:05 am
  • Updated:August 22, 2018 12:26 am

অর্ণব আইচ: স্কুলে গিয়ে আর ফেরেনি কিশোরী। বৃহস্পতিবার সারা রাত আতঙ্কেই ছিলেন পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার সকালে রাস্তার পাশে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকেই রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেল। জ্ঞানও ছিল না তার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতার গলফ গ্রিনে। ওই কিশোরীকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে যাদবপুর থানার পুলিশ। কিশোরীটির মেডিক্যাল টেস্টও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

[দমদমে বালির স্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাতের দায়িত্ব নিল নবান্ন]

Advertisement

বাবা-মা নেই। যাদবপুর এলাকায় দাদু-দিদার সঙ্গে থাকে কিশোরীটি। স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ স্কুল থেকে ফেরে ওই কিশোরী।  কোনও কোনও দিন আবার স্কুল থেকে টিউশনি পড়তে চলে যায় সে। বাড়ির লোকেদের দাবি, বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফিরে সন্ধ্যায় এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। কিন্তু, আর বাড়ি ফেরেনি সে। বিস্তর খোঁজাখুঁজি করে রাতভর তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। যাদবপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার সকালে গলফ গ্রিনে রাস্তার পাশে ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ। জানা দিয়েছে, ওই কিশোরীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আতঙ্কের ছাপ চোখে-মুখে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বন্ধুর বাড়িতে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গিয়েছে অভিযুক্তরা।

Advertisement

[৮ কেজি সোনা নিয়ে দমদম মেট্রোয় পাকড়াও উত্তরপ্রদেশের যুবক]

ওই কিশোরের পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আতঙ্কে এখনও কথাই বলতে পারছে না কিশোরীটি। তার শারীরিক অবস্থাও কথা বলার মতো নয়। হাসপাতালে তার মেডিক্যাল টেস্ট করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই কিশোরীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। ওই কিশোরীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলবেন তদন্তকারীরা।

[দেদার খেয়ে দমের ঘাটতি! ফাস্ট ফুডে বাড়ছে হাঁপানি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ