অর্ণব আইচ: ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা। চারিদিকে অভিজাত আবাসন। সেই পরিবেশেই দিনের পর দিন রমরমিয়ে বসত মধুচক্রের আসর। বাসিন্দাদের ছদ্মবেশেই আসত সুবেশা তরুণীরা। আসলে তাঁরাই যৌনকর্মী। দালালও নিয়োগ করা ছিল। ম্যানেজারের অঙ্গুলিহেলনে অভিজাত এলাকায় সকলের চোখে ধুলো দিয়েই প্রকাশ্যে চলত অবৈধ দেহব্যবসা। খবর পেয়ে পর্দাফাঁস কলকাতা পুলিশের। গ্রেপ্তার করা হল মোট ১১ জনকে।
[ ফিল্মি কায়দায় বাইক তাড়া করে ‘শাহরুখ’কে ধরল পুলিশ ]
সুরানা হাউস। ঠিকানা, ২০১৮/১এ রাসবিহারী অ্যাভিনিউ। অভিজাত বলেই পরিচিত এ এলাকা। সেখানেই যে এরকম চক্র ছিল তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি প্রতিবেশীরা। সকলের চোখে ধুলো দিয়েই রমরমিয়ে দেহব্যবসা চলছিল। সুবেশা তরুণী-যুবতীদের আনাগোনা লেগেই থাকত। তবে আবাসনের কোন ফ্ল্যাটে কে আসছে যাচ্ছে, তা নিয়ে তমন মাথা ঘামাতেন না কেউই। এই প্রবণতাকে ঢাল করেই ডালপালা মেলে মধুচক্র। কারও সন্দেহের অবকাশ না নিয়েই রীতিমতো ঘুঁটি সাজিয়েছিল মধুচক্রের ম্যানেজার। বাইরে নিয়োগ করা হয়েছিল দালালদের। তারাই কাস্টমারদের ধরে আনত। অন্যদিকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই হত যৌনসঙ্গী। প্রথাগত যৌনকর্মী ছাড়াও এই চক্রে অন্যান্য তরুণী ও যুবতীদের যোগযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের হাই-প্রোফাইল মধুচক্রের আসরে বিভিন্ন মহিলাদের যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়।
[ বদলাচ্ছে ৭০ বছরের প্রতীক, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ]
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই আবাসনেই অভিযান চালায় লালবাজার পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে মধুচক্রের ম্যানেজার। গ্রেপ্তার হয় ২ দালাল। সেইসঙ্গে ছয় যৌনকর্মীকেও জালে তোলা হয়। হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই খদ্দেরও। ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে। কী করে এরকম অভিজাত এলাকায় রমরমিয়ে দেহব্যবসা চলছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।