Advertisement
Advertisement

Breaking News

পিন বদলেও সুরক্ষা নিয়ে সংশয়, লুঠের নয়া পন্থা

সাবধান! ডুপ্লিকেট সিম বানিয়ে অ্যাকাউণ্ট সাফ করতে পারে জালিয়াতরা৷

SIM-swap fraud is new way in Bank account Forgery
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 28, 2016 9:42 am
  • Updated:October 28, 2016 9:42 am

দীপঙ্কর মণ্ডল: জালিয়াতদের একটি অংশ আর ব্যাঙ্কের তথ্য চাইছে না৷ অনলাইনে টাকা লুঠ করার অভিনব পন্থা বের করেছে তারা৷

মোবাইলের ‘ডুপ্লিকেট’ সিম তৈরির প্রয়াস চলছে৷ জালিয়াতরা জানাচ্ছে, “আপনার সিম বন্ধ হয়ে যাবে৷ এই নম্বরে সিমের তথ্য এসএমএস করুন৷” কেউ ভুল করে সিমের তথ্য এসএমএস করলেই ঠগবাজদের খপ্পরে পড়তে হবে৷ বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে পারবে জালিয়াতরা৷ আগে থেকে তৈরি করা ডুপ্লিকেট কার্ডে পিন নম্বর বদলাতে কোনও বেগ পাবে না দুষ্কৃতীরা৷ বলাই বাহুল্য, এরপর অ্যাকাউণ্টের টাকা উধাও হওয়া সময়ের অপেক্ষা৷

Advertisement

ইতিমধ্যে বিভিন্ন মোবাইলে সতর্কতামূলক এসএমএস আসা শুরু হয়েছে৷ মোবাইল সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, সিম সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে একটি বিশেষ নম্বরে এসএমএস করার কথা বলবে ব্যাঙ্ক জালিয়াতরা৷ সেই নম্বরে কোনওভাবেই এসএমএস পাঠানো যাবে না৷ সতর্কতার নয়া বার্তা আসার পর ই-মেল এবং এসএমএস আতঙ্কে ভুগছেন সবাই৷ কিছুদিন ধরে ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর বদলানোর হিড়িক দেখা দিয়েছে৷ তাতে কিছুটা মানসিক স্বস্তি পাচ্ছেন গ্রাহকরা৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পিন বদলে রেহাই নাও মিলতে পারে৷ একবার ডুপ্লিকেট সিম তৈরি করে ফেলতে পারলেই অপরাধীদের কেল্লা ফতে৷

Advertisement

এতদিন কৌশলে ব্যাঙ্কের তথ্য জেনে টাকা লুঠ হয়েছে৷ দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের লক্ষ লক্ষ কার্ড এখন ব্লক৷ নতুন কার্ড পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু চিন্তায় গ্রাহকরা৷ নতুন কোনও ই-মেল বা এসএমএস এলে সবাই ভয়ে ভয়ে খুলছেন৷ সবার চিন্তা, এই বুঝি অ্যাকাউণ্ট থেকে টাকা চলে গেল৷ কার্ড ব্লক পর্ব চলছে৷ ডেবিট কার্ডের পর ক্রেডিট কার্ডও ব্লক করছে কর্তৃপক্ষ৷ পাসবই নিয়ে ব্যাঙ্কে হত্যে দিচ্ছেন কেউ কেউ৷ ‘ব্যালান্স চেক’ করে স্বস্তি মিলছে৷ উত্তর কলকাতার এক গ্রাহকের কথায়, “স্থায়ী সুরাহা তো মিলছে না৷ প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে আছি৷ এই বুঝি নিজের কষ্টের টাকা সাফ করে দিল দুষ্কৃতীরা৷ পুরো টাকা তুলে বাড়িতেও তো রাখা যায় না৷ কী করব মাথায় ঢুকছে না৷”

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য ‘প্যানিকড’ না হওয়ার আবেদন করছে৷ এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জানিয়েছেন, “গ্রাহকদের বলছি আমি নিজে যদি আপনার কাছে অ্যাকাউণ্ট সংক্রান্ত তথ্য চাই, দেবেন না৷ অচেনা কাউকে তথ্য না বলার কথা আমরা সবসময় বলি৷ এরপরও কেউ কেউ অসতর্কতায় বলে ফেলছেন৷ জালিয়াতরা তথ্য জেনে টাকা সরিয়ে ফেলছে৷” ব্যাঙ্কের তথ্য সংক্রান্ত এই ডামাডোলের বাজারে ইণ্টারনেটের কিছু লিঙ্ক নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে৷ মোবাইলে কিছু দুর্বোধ্য লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে৷ সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিছু লিঙ্ক খুলে দেখলে ব্যক্তিগত তথ্য ‘ট্রান্সফার’ হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ