সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যরাতে ইডি অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। অথচ তখন আর্থিক লেনদেনে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসের গেটে ঝুলছে তালা। দপ্তরে নেই কোনও আধিকারিকরাও। কারোর দেখা না পেয়ে ফিরে যান মেনকা। তাঁর আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, “অফিসে কেউ নেই তাই ফিরে যাচ্ছি।” কিন্তু মাঝরাতে কেন ইডি (Enforcement Directorate) অফিসে হাজির হলেন মেনকা? আইন বলছে সূর্যাস্তের পর কোনও মহিলাকে তলব করা যায় না।
পরে অবশ্য নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয় ইডি। জানায়, নোটিসে ছাপার ভুল ছিল। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় ফের মেনকাকে তলব করেছে ইডি।
কয়লাপাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সূত্রে তাঁকে নোটিস পাঠায় তারা। মেনকা গম্ভীরের আইনজীবীর দাবি, ইডির নোটিসে বলা ছিল, ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে বারোটায় ইডি অফিসে হাজিরা দিতে হবে। সেই মতোই ইডির কলকাতা দপ্তর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, মেনকা যখন পৌঁছন সেইসময় সিজিও কমপ্লেক্সের মূল গেটে তালা ঝুলছে। নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে তালা খুলিয়ে ভিতরে ঢোকেন তিনি। লিফটে চড়ে ইডির দপ্তরেও পৌঁছে যান। কিন্তু সেখানে কেউ ছিলেন না বলে দাবি মেনকা এবং তাঁর আইনজীবীর। ফলে হাজিরা না দিয়েই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। এই ঘটনার পর ইডির নোটিস ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। রাত সাড়ে বারোটার সময় কেন মেনকা গম্ভীরকে হাজিরার জন্য ডাকা হল? আর যদি রাতেই ডাকা হয়ে থাকে তাহলে কেন কোনও আধিকারিক অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে কি নোটিসে ছাপার ভুল ছিল? প্রশ্ন অনেক। পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নতুন করে নোটিস দেয় তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে ব্যাংকক যাওয়ার পথে মেনকা গম্ভীরকে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় । অভিবাসন দপ্তর থেকে জানানো হয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) নাকি তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অভিষেকের শ্যালিকাকে বসিয়ে রাখা হয়। পরে ইডির আধিকারিকরা এসে তাঁকে সমন ধরান। সূত্রের খবর, সেই নোটিসে রাত সাড়ে বারোটায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার কথা বলা ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.