Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ওপার বাংলায় হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদ, বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্ত কলকাতার হাসপাতালের

একজন চিকিৎসক বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রোগীকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে? উঠছে সেই প্রশ্নও।

Some Kolkata hospital decided not to trea Bangladeshi patient
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 30, 2024 10:20 am
  • Updated:November 30, 2024 1:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওপার বাংলায় হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদ। নিজের রোজগারের পরোয়া না করেই কলকাতার এক চিকিৎসক এবং মানিকতলার একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আপাতত বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল। সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাল সেই পোস্ট। চিকিৎসকদের পাশাপাশি এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে আমজনতা। তবে একজন চিকিৎসক কিংবা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রোগীকে এভাবে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন কি না, তা নিয়েও বিতর্ক উসকে দিয়েছেন কেউ কেউ।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবারই। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউইটি)–র প্রবেশপথে রাস্তাতেই আঁকা হয়েছে একটি ভারতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সেই পতাকার উপর দিয়ে হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে-বেরোতে দেখা যায় একটি ছবিতে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল সেই ছবি। সেই ছবিটি আপলোড করে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ তথা বন্ধ্যত্বরোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল সাহা তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘বিইউইটি-র প্রবেশপথে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা! চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি। আগে দেশ, পরে রোজগার। আশা রাখব দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্যরাও তাই করবেন।’

Advertisement

ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয় ইন্দ্রনীলের এই ফেসবুক পোস্ট। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বহু চিকিৎসক এই পোস্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করে শেয়ার করেন। শুক্রবার বিকেলে আবার মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল ফেসবুক পোস্টে লেখে-ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা হাসপাতাল থেকে এই আওয়াজটা উঠুক। সেই পোস্টারে লেখা, ‘আপাতত বাংলাদেশী রোগী দেখা বন্ধ। ভারতের চিকিৎসায় সুস্থ থেকে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা! এটা হতে পারে না।’ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ও। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও চিকিৎসক সুদীপ্ত মিত্র বলেন, “আমরা চিকিৎসক হিসেবে তো একথা বলতে পারি না। কারণ, রোগীর প্রথম পরিচয় তিনি অসুস্থ। তবে আগে প্রতিদিন আউটডোরে দেড়শো থেকে দুশো রোগী আসতেন, এখন সেই সংখ্যা কমে ১০-১৫ তে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশি কোনও রোগী ভর্তি নেই। শুধু এই হাসপাতাল নয়, সব হাসপাতালের ছবিই এক।”

স্বাস্থ্যমহল মনে করছে, কলকাতায় যদি এই প্রবণতা চিকিৎসক ও হাসপাতাল মহলে সংক্রমিত হয়, তা হলে বিপাকে পড়বেন অসংখ্য অসুস্থ বাংলাদেশি। কেননা, অপ্রতুল চিকিৎসা পরিকাঠামো ও বিপুল খরচের কারণে বাংলাদেশের বহু রোগী প্রতি বছর কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসায় ভরসা রেখেই বহু বাংলাদেশি বেঁচে রয়েছেন। ভারত চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যায় পড়বেন বহু বাংলাদেশি।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement