(বাঁদিকে) ভেঙে পড়া কাচ এবং (ডানদিকে) ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের জমায়েত। ছবি: অমিত মৌলিক
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নব নালন্দা স্কুলে দুর্ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা। সকাল থেকে স্কুলে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে বিক্ষোভরত অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রিন্সিলাল অরিজিৎ মিত্র। ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক দেবাশিস কুমারও। আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল বলেই দাবি তাঁর।
সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ঢুকছিল। সেই সময় আচমকাই উপরের তলা থেকে কাচ ভেঙে পড়ে। তাতে নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়া জখম হয়। একজনের হাত এবং আরেক জনের মাথায় চোট লাগে। হাত চোট লাগা পড়ুয়ার স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তারপর তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যার মাথায় চোট লাগে, সে বর্তমানে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার পর থেকে স্কুলে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, স্কুলে পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সে ফি নেওয়া সত্ত্বেও সে পরিষেবা পাওয়া যায়নি। এমনকী প্রিন্সিপাল অরিজিৎ মিত্র অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করতে চান না বলেও দাবি। পেরেন্ট-টিচার মিটিং স্কুলের তরফে করা হয় না বলেই অভিযোগ।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিস কুমার, কাউন্সিলর। বিধায়ক দেবাশিস কুমার বলেন, “শিক্ষার সঙ্গে নিরাপত্তা জোর দেওয়া প্রয়োজন। আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।” এরপর স্কুলে পৌঁছন প্রিন্সিপাল অরিজিৎ মিত্র। সেই সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। অনেকেই কার্যত জোর করে তাঁর ঘরে ঢুকে যান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টালিগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রিন্সিপাল।
গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। বলেন, “একটি শেড ছিল নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু ফায়ার লাইসেন্সের জন্য ওই শেডটি খুলে দেওয়া হয়। অ্যাম্বুল্যান্স চালককে শোকজ করা হয়েছে।” এরপর বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রিন্সিপাল। বলেন, “ওরা যেমন আপনার সন্তান, তেমনই আমারও সন্তান। বক্তব্যগুলি লিখিত আকারে নিন। অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.