Advertisement
Advertisement
Suvendu Adhikari

নমনীয় আবেদনে ‘অভব্যতা’য় শাস্তি কমতে পারে শুভেন্দুর, বিজেপিকে পরামর্শ অধ্যক্ষের

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভব্যতা, উদ্ধত আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Speaker Biman Banerjee gives special tips to Suvendu Adhikari
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 19, 2025 11:07 pm
  • Updated:February 19, 2025 11:07 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: বিধানসভার অধ‌্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের সঙ্গে অভব‌্যতা, উদ্ধত আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে নমনীয় হয়ে আবেদন করলে শাস্তি কমতে পারে বলে বুধবার জানালেন অধ‌্যক্ষ। বিজেপি পরিষদীয় দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সাসপেনশন প্রত্যাহার চাইলে সঠিকভাবে আবেদন করুন। নমনীয়ভাবে আবেদন করলে হাউস কনসিডার করতে পারে।” এদিকে, রাজ‌্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছে শুভেন্দু-সহ চার বিধায়কের সাসপেনশন পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে চিঠি লেখেন বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

শুভেন্দু-সহ চার বিধায়ক সাসপেন্ড হওয়ায় অসম্পূর্ণ টিম নিয়েই এদিন অধিবেশনে যোগ দেয় বিজেপি। ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন গঠন করে কেন্দ্রের কাছে সর্বদলীয় কমিটি পাঠানোর জন‌্য বিজেপিকে শাসক দলের তরফে আবেদন করা হলেও শুভেন্দুর অনীহাতেই তা করা যায়নি বলে অভিযোগ। এদিন সেই সর্বদলীয় কমিটির প্রসঙ্গেই আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এ নিয়ে শুভেন্দুর অনীহা থাকায় সেই মুহূর্তেই অধ‌্যক্ষ বিজেপির মুখ‌্য সচেতক শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলেন।

Advertisement

রিভার কমিশন গঠনের প্রসঙ্গ তুলে সুমনের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী অধ্যক্ষ ও পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ‌্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বলেন, “বিধানসভায় এ নিয়ে প্রস্তাব পাশ হলেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ভুটানের ৭৬টি নদী উত্তরবঙ্গকে ধ্বংস করছে। ইন্দো-বাংলাদেশ, ইন্দো-নেপাল রিভার কমিশন থাকলেও ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করেনি।” এ নিয়ে অধ্যক্ষ তাঁর জবাব চাইলে শঙ্কর বলেন, “এ বিষয়ে যিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী তাঁকে অনৈতিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

অধ‌্যক্ষ শংকরের এই বক্তব‌্য কার্যবিবরণীতে যাবে না বলে জানান। সেইসঙ্গে তখনই নমনীয় হয়ে আবেদন করলে শুভেন্দুর শাস্তি কমতে পারে বলেও জানান তিনি। এই প্রতিনিধিদল নিয়ে দিল্লি যাওয়ার ব্যাপারে এবার শঙ্করকে উদ্যোাগী হতে বলেন। তবে শঙ্করের বক্তব্যের জবাব দেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ‌্যায়। এই সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের প্রস্তাব যখন পাশ হয়, তখন সেই দল নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পরিষদীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতাকে। শংকরের জবাব শুনে শোভনদেব সাফ বলেন, “কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন। বাংলার মানুষ দেখল, রাজ্যের স্বার্থে সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতিনিধিদলের যাওয়ার বিষয়টি আপনাদের জন্য সম্ভব হল না। অযথা আপনি বিরোধী দলনেতার কথা তুললেন। আমি আপনার কাছে বারবার জানতে চেয়েছি, কবে যাওয়া হবে? আপনিও জানাননি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement