Advertisement
Advertisement
SSC

‘SSC’র ভূমিকা সন্দেহজনক, প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করব’, চেয়ারম্যানকে সশরীরে তলব বিচারপতির

শুক্রবার রিপোর্ট-সহ এসএসসি চেয়ারম্যানকে হাই কোর্টে হাজিরা দিতে হবে।

Calcutta HC summons SSC chairman to be present by own | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 17, 2023 12:17 pm
  • Updated:March 17, 2023 2:23 pm

গোবিন্দ রায়: ২০১১ সালের টেট (TET) মামলায় কমিশনের রিপোর্টে অখুশি কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তিনি এসএসসির চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার রিপোর্ট নিয়ে হাজির থাকতে হবে তাঁকে। ক্ষুব্ধ বিচারপতির আরও মন্তব্য, ”বলতে দ্বিধা নেই, একটা গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে কমিশন। কমিশনের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। সব নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আমি সন্দেহ করছি।” 

অন্যদিকে, যে আইনে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের নিয়োগ ‘অবৈধ’ বলে বাতিল করা হয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) আইনের সেই ধারাই এবার চ্যালেঞ্জের মুখে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। এই আইন প্রয়োগ করেই ৬১৮ জন কর্মরত শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ এপ্রিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, আজ কালীঘাটে দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক মমতার, থাকবেন অভিষেকও]

স্কুল সার্ভিস কমিশন আইনের ১৭ নং ধারায় বাতিল হয়েছে নবম ও দশম শ্রেণির ৬১৮ জনের চাকরি। এই আইনটি প্রয়োগ করেই তা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু এই ১৭ নং ধারাকেই এবার ‘অবৈধ’ ঘোষণার দাবিতে মামলা দায়ের হল হাই কোর্টে। কী রয়েছে এই ধারায়? বলা হচ্ছে, ১৭ নম্বর ধারায় কোন চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিল (Cancel) করার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। আবেদনকারী বা কমিশনের দ্বারা সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তাহলে যে কোনও সময় সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে পারে কমিশন। কমিশনকে এই ক্ষমতা দেওয়ার জন্যই ১৭ নং ধারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন কারা? তালিকা তৈরির নির্দেশ ব্রাত্যর]

এখন এই ১৭ নং ধারাটিকেই বাতিলের দাবিতে মামলায় রাজ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ-সহ সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ৩ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি। যদি এই ধারাটিই বাতিল হয়, সেক্ষেত্রে চাকরি বাতিলের নির্দেশও আর কার্যকর থাকে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ