সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে রথযাত্রার উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আলোচনায় বসতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও। কিন্তু, দলের দুই নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজ্য সরকার রাজি নয়। সোমবার এই মর্মে হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। মঙ্গলবার মামলার শুনানি।
[ রথযাত্রা ইস্যুতে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে নবান্নে বিজেপির প্রতিনিধি দল]
এ রাজ্যে রথযাত্রার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু, নিরাপত্তার কারণে বিজেপির কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ। মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ। রায় ঘোষণার পর, নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীকে লিখিতভাবে তাঁরা রথযাত্রা নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন বলে খবর।
এদিকে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে কোচবিহারে রথযাত্রা কর্মসূচি বানচাল হয়ে গিয়েছে। কাকদ্বীপে কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী শুক্রবার বীরভূমের তারাপীঠ থেকে বিজেপির রথ বেরোবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলের রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিকে রথযাত্রা বৈঠক নিয়ে এবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। সোমবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যের এডিজি। আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বিজেপি প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। তাই তাঁদের সঙ্গে রথযাত্রা নিয়ে আলোচনায় বসা যাবে না। সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য শুনে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ডিজি, আইজি-র মতো প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীদের বিরুদ্ধেও আদালত আবমাননার মামলা চলছে। তবে মামলাটি গ্রহণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার শুনানি। মুকুল রায় যখন শাসকদলে ছিলেন, তখন সারদা মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। আর বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা চলছে।
[ বর্ষশেষে সুরাপ্রেমীদের জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা রেস্তরাঁগুলোর]