সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মতো কঠিন সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে রবিবারই একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছিল নবান্ন। তাঁদের জন্য কী কী ব্যবস্থা করতে হবে, সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি পৌঁছেছিল জেলাগুলিতে। সোমবার, নবান্নে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর আরও কয়েকটি নতুন পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তাঁদের জন্য ‘কমিউনিটি কিচেন’ তৈরি হবে। সেখানে রান্না করা খাবারই দু’বেলা পাবেন ওই শ্রমিকরা। রেশন কার্ড নেই বলে সরকারি সুবিধা পেতে যাতে কারও অসুবিধা না হয়, তার জন্য অস্থায়ী রেশন কার্ড দেওয়া হবে। যা দিয়ে তাঁরা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাবেন। এছাড়া এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে বাজার খোলা থাকবে, মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। দুধ, ছানার মতো প্রোটিন সংগ্রহের জন্য মিষ্টির দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এতে দুধ ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন না। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, কোনওভাবেই ওষুধের গাড়ি এবং মেডিক্যাল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কাউকে আটকানো যাবে না।
[আরও পড়ুন: এসি বাসে ভ্রাম্যমাণ রক্তদান শিবির, সংকট মেটাতে অভিনব উদ্যোগ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের]
সোমবার নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। জেলায় জেলায় চিকিৎসা পরিষেবা কেমন চলছে, করোনা মোকাবিলায় তারা কতটা প্রস্তুত, সব খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের পরিবেশ ঘিঞ্জি এবং সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড ঠিকমতো কাজ করছে না, এই অভিযোগ পেয়ে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। সুপারকে ডেকে কড়া নির্দেশ দেন যাতে আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখা হয়, তা দেখার নির্দেশ দেন। মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকদের কাজেও তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। মেদিনীপুরের রশ্মি কমল এবং ঝাড়গ্রামের আয়েষা রানিকে এই পরিস্থিতিতে আরও ভালভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।