Advertisement
Advertisement

Breaking News

Suvendu Adhikari

‘যোগী আদিত্যনাথের মতো এনকাউন্টার করা উচিত’, মাটিগাড়া ধর্ষণ-খুনে বিস্ফোরক শুভেন্দু

মাটিগাড়া নিয়ে বিধানসভায় শংকর ঘোষের বক্তব্য়ের সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Suvendu Adhikari prescribes encounter like UP in Bengal | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 24, 2023 2:34 pm
  • Updated:August 24, 2023 4:40 pm

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: মাটিগাড়া ধর্ষণকাণ্ডে অপরাধীদের শাস্তি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার আঁচ পড়ে বিধানসভায়। বিজেপি বিধায়করা (BJP MLA) দোষীদের শাস্তি চেয়ে শোরগোল শুরু করেন বলে অভিযোগ। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গটি বিধানসভা অধিবেশনে উল্লেখ করেন। কিন্তু সংগত না বলে মনে করে মাইক বন্ধ করা হয়। তার প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা (Assembly) স্লোগান তুলতে থাকেন। শেষমেশ অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা বলেন, ”আমরা মনে করি, দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথের মতো এনকাউন্টার (Encounter) করে দেওয়া উচিত। এদের সমাজে থাকাই উচিত নয়। এরা সব ঘৃণিত জীব, পাষণ্ড।”

মাটিগাড়ায় (Matigara) ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। অভিযোগ, সেখানে পুলিশ বিজেপি নেতা, কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। তার বিরোধিতাতেই বিধানসভায় এত বিক্ষোভ বিজেপির। এদিন ওয়াকআউট করে বেরিয়ে বিধানসভার বাইরে ‘হায় হায়’ স্লোগান তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ”মাটিগাড়ায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যারা দোষী, তাদের তো গ্রেপ্তার করা হয়ইনি। উলটে আমরা সেই দাবি জানাতে থানায় গেলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শুধু নারী নিরাপত্তা দিতেই ব্যর্থ, তা নয়। শিশুদেরও রক্ষা করতে পারে না। শৈশব চলে যাচ্ছে এভাবে। এই ঘটনায় দোষীদের দরকারে এনকাউন্টার করে মারা উচিত। এরা সব পাষণ্ড, এদের সমাজে থাকার অধিকার নেই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘চাঁদের মাটিতে পথচলা শুরু ভারতের’, প্রজ্ঞান হাঁটা শুরু করতেই জানাল ইসরো]

সোমবার রাতে স্কুলড্রেস পরা অবস্থায় ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়। জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাড়ি থাপড়াইল এলাকায়। স্কুল ছুটির পর হাঁটা পথেই ওই ফাঁকা জায়গায় পৌঁছেছিল নাবালিকা। সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত যুবক। পুলিশে অনুমান, কোনওভাবে ঝোপ-জঙ্গলে ভরা ঘরে নাবালিকাকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপরই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। নাবালিকা বাধা দেওয়ায় রাগের মাথায় ঘরে পড়ে থাকা ইট দিয়ে নাবালিকার মাথা থেঁতলে দেয় অভিযুক্ত। এরপর ৬ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ধরা পড়ে লেনিন কলোনির বাসিন্দা অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাস। তা নিয়েই  শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমরা তো চাঁদেই রয়েছি’, চন্দ্রযানের সাফল্যে এ কী বলছেন পাক নাগরিক!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ