BREAKING NEWS

১২ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

Don’t Touch Me বিতর্ক: ‘মহিলা পুলিশ দিয়ে ফাঁসানোর ছক ছিল, পা দিইনি’, পালটা দাবি শুভেন্দুর

Published by: Paramita Paul |    Posted: September 14, 2022 9:04 pm|    Updated: September 14, 2022 9:21 pm

Suvendu Adhikari slams TMC in Dont Tourch Me Comment Row

নবান্ন অভিযানের দিন মহিলা পুলিশকে ধমক শুভেন্দুর।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডোন্ট টাচ মি’ মন্তব্য (Don’t Touch Me Comment Row) ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিরোধী দলনেতাকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পালটা অভিযোগ করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। দাবি করলেন, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল তৃণমূল।

বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “আমাকে ফাঁসানোর ট্র্যাপ করেছিল। প্রথমে একজন আইপিএস আমাকে আটকান। সেখানে আকাশ মাঘারিয়া আসেন। তিনি আবার জ্ঞানবন্ত সিংকে ডেকে আনেন। জ্ঞানবন্ত কলকাতা পুলিশের কেউ নন। তারপর তাঁদের পরামর্শে আটজন মহিলা পুলিশ কর্মী এসেছিলেন। তাঁদের অনেকেই পুলিশের পোশাকে ছিলেন না। জগিংয়ের পোশাকে ছিলেন। একজন পুলিশ কর্মী আমাকে পিছন থেকে ধাক্কাও দেন। তবু আমি সচেতন ছিলাম। আমি কিছু করলেই পুলিশ আমার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করত।” তাঁর দাবি, “মহিলা পুলিশ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। সেই ফাঁদে পা দিইনি বলে ওঁর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) রাগ হয়েছে।’ একুশের নির্বাচনের আগেও মহিলা ঘটিত ছবি দিয়ে তাঁর নামে ভুয়ো প্রচার করা হয়েছিল বলে দাবি শুভেন্দুর। 

[আরও পড়ুন: ‘নবান্ন অভিযানের নামে গুন্ডামি, ব্যাগে বোমা এনেছিলেন BJP কর্মীরা’, বললেন মমতা]

এদিনের জবাবি সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ”উনি বলছেন, পুলিশের জায়গায় উনি থাকলে গুলি করে দিতেন। তাহলে কি সেদিন মণীষ গুপ্ত এবং জ্যোতিবাবু ঠিক করেছিল? ওদেরও গুলি চালানো উচিত ছিল?” তাঁর আরও অভিযোগ, “ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। ভাষা সন্ত্রাসের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল।” শুভেন্দুর অভিযোগের পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেন, ”শুভেন্দু তো এখন পরিহাসের পাত্র। লোকে ওঁকে নিয়ে হাসছেন।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশকে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর কথায়, “উনি কি চাইছেন পুলিশের হাতে ট্রিগার থাকুক?” একইসঙ্গে সুকান্তর পালটা হুঁশিয়ারি, “কাল আমাদের যা লোক হয়েছিল, তাতে চাইলে পুলিশকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারতাম।” পুলিশের ভূমিকা, নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে ফের সক্রিয় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন সুকান্ত। জানালেন, কালীপুজোর পর থেকে জেলায় জেলায় ‘জেল ভরো’ আন্দোলনে নামবেন তারা। 

[আরও পড়ুন: বন্ধুর আত্মহত্যার খবর পেয়েই নিজেকে শেষ করল আরেক বন্ধু! শোকস্তব্ধ বীরভূমের গ্রাম]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে