কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: নাইলনের দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে হাত বাঁধা। দু’পায়ের পাতা আপ্রাণ চেষ্টা করছে মাটি ছুঁতে। গলায় শক্ত বাঁধন। মাঝারি উচ্চতার একটি গাছের ডাল থেকে ঝুলছে দেহটি। ঠোঁটের কাছ থেকে লালা বেরিয়ে গড়িয়ে পড়ছে। সন্ধের আলো আঁধারিতে এই ছবি দেখে চমকে ওঠেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। দেখলেন আমগাছের ডালে ঝুলছে এক কিশোর। লোকজনকে ডাকার পর দেহটি গাছ থেকে নামানো হয়।
[হরিদেবপুর কাণ্ডে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে ‘মেডিক্যাল বর্জ্য’]
পুলিশ জানায়, মৃত কিশোরের নাম সইনুর মোল্লা (১৭)। সে ছাপনা হাই মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। রবিবার রাতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তেঘড়িয়া মোল্লারপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ ইউনুস। তিনিই প্রথম দেখতে পান সইনুরের ঝুলন্ত দেহ। নাইলনের দড়ি গলায় চেপে বসার দরুন ঠিকরে বেরিয়ে এসেছিল চোখ। মুখমণ্ডল ফুলে বিকৃত আকার নিয়েছিল। সইনুল ভাল ছাত্র বলে পাড়ায় তার সুনাম ছিল। পরীক্ষায় ভাল ফল করত। মধ্যবিত্ত এই ছাত্রটিকে ঘিরে উচ্চাশা ছিল পরিবারের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, সইনুল আত্মহত্যা করেছে। এদিন দুপুরে তাকে বকাবকি করেছিলেন বাবা। সেই কারণে অভিমানী হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সইনুলের মৃতদেহ বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পাশাপাশি সোমবার সকালে বাদুড়িয়ার এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শিবশংকর দাস নামে বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের দেহে বিষক্রিয়ার লক্ষণ মিলেছে। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁকে নিউটাউনের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর কাকা। পরিবারের দাবি, রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বিঁষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন শিব। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাদুরিয়া থানায় খবর পাঠিয়েছে নিউটাউন থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
[দাদাকে পুড়িয়ে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টা ২ তরুণীর, ময়ূরেশ্বরে চাঞ্চল্য]