Advertisement
Advertisement

হাঁটু, কনুই, হ্যান্ডব্যাগেও আত্মরক্ষা করুন ‘তেজস্বিনী’রা, পাঠ কলকাতা পুলিশের

দু’মাস পরে ফের প্রশিক্ষণ।

Tejashwini : Kolkata police  initiative girls self defense training  postponed for two month
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 24, 2018 11:29 am
  • Updated:May 24, 2018 11:29 am

অর্ণব আইচ: হাতে কিছু নেই?  ব্যাগটা আছে যে। কোনও বিপদে পড়লে হাতের ব্যাগটা দিয়ে সজোরে আঘাত করুন রোমিওর মুখে। আচমকা এই আঘাত সহ্য করতে পারবে না রোমিও। সোজা পিঠটান দেবে। আর অস্ত্র তো রয়েছে হাত আর পায়ে। কনুই আর হাঁটু মুহূর্তের মধ্যে অস্ত্রের কাজ করতে পারে। সহজেই কাবু করে ফেলতে পারে দুষ্কৃতীদের। প্রয়োজনে লিফটের মধ্যে হাতের পেন বা হেয়ারপিনও পরিণত হতে পারে অস্ত্রে। বুধবার পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ শেষ হল ‘তেজস্বিনী’দের। কলকাতা পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবে প্রশিক্ষণের শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার।

[আত্মরক্ষার্থে কলকাতা পুলিশের তত্ত্বাবধানে ‘তেজস্বিনী’দের প্রশিক্ষণ শুরু]

শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গত বুধবার থেকে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সাড়ে তিনশোর উপর মহিলা। তালিকায় ১৫ বছরের কিশোরী থেকে ৪০ বছরের গৃহবধূ সকলেই ছিলেন। পাঁচদিনে মোট ১৫ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। লালবাজারের কর্তাদের সন্দেহ ছিল,  এই ১৫ ঘণ্টার মধ্যে মহিলারা আত্মরক্ষার পদ্ধতি কতটা শিখতে পারবেন। এদিন সকালে পুলিশকর্তাদের সামনে তাঁরা পদ্ধতিগুলি দেখান। তা দেখে লালবাজারের কর্তাদের অভিমত,  ‘তেজস্বিনী’রা খুব তাড়াতাড়িই শিখেছেন। অল্পদিনের প্রশিক্ষণ হলেও ‘তেজস্বিনী’রা খুবই প্রত্যয়ী হয়ে উঠেছেন। তাঁদের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। দু’মাস পর আবার ‘তেজস্বিনী’দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে শারীরিক কসরতের সঙ্গে ‘তেজস্বিনী’রা যাতে মানসিকভাবে শক্ত হয়ে ওঠেন, সেই চেষ্টাও করা হয়েছে। চলন্ত বাস,  অটো,  মেট্রো অথবা রাস্তাঘাটে কোনও পরিস্থিতির সামনে পড়লে তাঁরা যাতে প্রথমে প্রতিবাদ করে ওঠেন, তাও তাঁদের শেখানো হয়।

Advertisement

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক ‘তেজস্বিনী’  জানান,  তাঁদের শেখানো হয়েছে, যে কোনও অবস্থায় বিপদে পড়তে পারেন। কেউ যদি বন্ধ ঘরে কোনও মহিলাকে আক্রমণ করে,  তবে তা রোখার পদ্ধতি হবে একরকমের। আবার রাস্তায় কোনও বিপদের সামনে পড়লে হাত ও পা দিয়ে যেমন আত্মরক্ষা করতে হবে।  তেমনই হাতে থাকা ব্যাগ বা ফাইলও হয়ে উঠতে পারে অস্ত্র। কেউ যদি তাঁদের পিছন থেকে আক্রমণ করে, তাহলেও কীভাবে তাঁরা নিজেদের রক্ষা করবেন, এসবও শেখান প্রশিক্ষকরা। শরীরের কোন কোন জায়গায় আঘাত করলে বেশি কার্যকর হবে, তা শেখানো হয়েছে। তবে অনেকে মিলে ঘিরে ধরলে যে প্রয়োজনে দৌড়ে পালিয়েও আত্মরক্ষা করতে হতে পারে, সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে তরুণী ও মহিলাদের।

Advertisement

[রোমিওদের থেকে আত্মরক্ষা করতে প্রশিক্ষণ নেবেন ‘তেজস্বিনী’রা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ