Advertisement
Advertisement

মাঝ ডিসেম্বরে জাঁকিয়ে পড়তে পারে শীত, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

চলতি সপ্তাহেই দু’তিন ডিগ্রি নামতে পারে পারদ৷

Temperature falls end of the December
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 3, 2018 8:51 am
  • Updated:December 3, 2018 8:51 am

স্টাফ রিপোর্টার: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষ। কিন্তু সোয়েটার-মাফলারের বদলে হাফ শার্ট, সন্ধ্যায় বড়জোর একটা ফুল শার্টেই চলে যাচ্ছে। দিনের বেলা ও প্রথম রাতে বহু বাড়িতে ফ্যানও চলছে বনবনিয়ে। বেশি হাঁটাচলা করলে রীতিমতো ঘাম ঝরার জোগাড়! হবে নাই-বা কেন? ডিসেম্বর মাসেও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে স্বাভাবিকের উপরে। রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। যদিও চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে পারদ দুই থেকে তিন ডিগ্রি নামার ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। তবে প্রকৃত শীতের আমেজ পেতে মাঝ ডিসেম্বর অবধি অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

[ঘুড়ির সুতোয় ফের দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে, জখম এক চিকিৎসক]

প্রতিবছর এই সময় হাড় হিম করা ঠান্ডা না পড়লেও অনুভূত হয় শীতের আমেজ৷ শহরে সেভাবে ঠান্ডা না পড়লেও শহরতলিতে সোয়েটার-মাফলার চাপিয়ে রাস্তায় বেরোন বাসিন্দারা। কিন্তু শহরতলির শীতের চিত্রটাও এবার বদলে গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, দু’বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে বছরের এ সময়ে শহরের তাপমাত্রা নেমেছিল ১৪-র ঘরে। জেলায় তা ছিল ১১-র আশপাশে। হঠাৎ এই উলটপূরাণ কেন?
কলকাতার ভৌগোলিক অবস্থানকেই এর জন্য দায়ী করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, হেমন্ত থেকে শীতকালে পাড়ি দেওয়ার সময়টা মহানগরের অবস্থা অনেকটা ‘স্যান্ডউইচ’-এর মতো হয়। উপরের দিকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব আর নিচে বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধা নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্তের জের। দু’দিকের চাপে কখনও উত্তর-পশ্চিমের দিক থেকে জোলো হাওয়া ঢুকে শহরের তাপমাত্রা বাড়ায়। কখনও বা উত্তুরে হাওয়া ঢুকে তাপমাত্রায় রাশ টানে। “ঋতু পরিবর্তনের সময় পশ্চিমি এবং উত্তুরে হাওয়ার মধ্যে এই যুদ্ধটা আরও প্রকট হয়। সেই কারণে শহরে একটানা শীতের আমেজ পাওয়া যায় না।”-মন্তব্য কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানান, এই সময় ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম। সে কারণে সাগরে একের পর এক ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ দানা বাঁধতে থাকে। আর কলকাতা ডায়মন্ড হারবার থেকে মাত্র ৮০ কিমি দূরে অবস্থান করায়, তার প্রভাব পড়ে শহরের উপর।

Advertisement

[দলের জন্য স্বার্থত্যাগ করতে হবে, যুব নেতাদের বার্তা দিলীপের]

আবহাওয়াবিদদের ব্যাখ্যা, শীত পড়ার জন্য দিনের বেলায় চড়া রোদ ও পরিষ্কার আকাশ ভীষণভাবে জরুরি। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ফারাক যত বাড়বে, তত জাঁকিয়ে পড়বে ঠান্ডা। এই প্রাথমিক শর্তটি পূরণ না হওয়ায় পরিবেশ একদম বদলে গিয়েছে। সাধারণত নভেম্বরের গোড়া থেকেই উত্তুরে হাওয়া বয়ে আসতে শুরু করে। তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করে শহরে। কিন্তু ঠান্ডার রথে এই পিছুটানের জন্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি একের পর এক ঘূর্ণাবর্তকেই দুষছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সময় পশ্চিমবঙ্গে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাস বয়ে যায়। কিন্তু উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেই রাজ্যে ঢুকতে শুরু করে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা গরম জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আবার আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও এর প্রভাব কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের উপর পড়বে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন, আস্তে আস্তে নামতে শুরু করবে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলির তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহেই শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ১৫ ডিগ্রিতে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ