সুব্রত বিশ্বাস: রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দু’দফায় কেরল থেকে ঘরে ফিরেছেন হাজার পাঁচেক বাঙালি। বুধবার কেরল থেকে তৃতীয় ট্রেনটি পৌঁছল হাওড়ায়। তবে এবার আর শুধু বাংলার মানুষরাই নন, বিশেষ ট্রেনে ফিরছেন অসমবাসীরাও। হাওড়া থেকে মালদহ, জলপাইগুড়ি হয়ে ট্রেন যাবে অসমে শিবসাগর পর্যন্ত। হাওড়া থেকে অসম পর্যন্ত যাত্রীদের খাবার বন্দোবস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষই। তবে খরচ বহন করছে অসম সরকার।
[ ঘরে ফেরার আনন্দে হাওড়ায় এসে কেঁদে ফেললেন ওঁরা]
কেরল থেকে বাঙালি ফিরিয়ে আনতে পরপর তিন বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল। বাঙালিদের উদ্ধারের জন্য রেলকে অবশ্য অনুরোধ করেছিল রাজ্য সরকারই। সোমবার ও মঙ্গলবার দুটি বিশেষ ট্রেনে কেরল থেকে ফিরেছেন প্রায় হাজার পাঁচেক রাজ্যবাসী। প্রথম ট্রেনটি হাওড়া ও দ্বিতীয় ট্রেনটি শালিমার পর্যন্ত এসেছিল। হাওড়া যাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর সাঁতরাগাছি মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা ফিরলেন, তাঁদের কারও বাড়ি মেদিনীপুরে, কেউ আবার পুরুলিয়া কিংবা বাঁকুড়া কোনও প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা। স্টেশন থেকে সবাইকে বাসে চাপিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছিল পরিবহণ। বুধবার সন্ধ্যা কেরল থেকে তৃতীয় ট্রেনটি পৌঁছল হাওড়ায়। বাড়ি ফিরলেন আরও কয়েক হাজার বাঙালি। ট্রেনে হাজার দেড়েক যাত্রী আবার যাবেন অসমে। হাওড়া থেকে মালদহ, জলপাইগুড়ি হয়ে এই বিশেষ ট্রেনটিই যাবে অসমের শিবসাগর পর্যন্ত। এদিন সন্ধ্যা হাওড়া স্টেশনে হাজির ছিলেন এ রাজ্যে অসমের রেসিডেন্স কমিশনার অভিজিৎ বড়ুয়া। যাঁরা পড়শি রাজ্যে ফিরছেন, তাঁদের হাতে খাবার তুলে দেন আইআরসিটিসির গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র।
[ স্বল্পমূল্যে প্যাকেটজাত দুধ বিক্রির উদ্যোগ রাজ্যের, বাড়ল সুন্দরিনী প্রকল্পের গুরুত্ব]