অর্ণব আইচ: কলকাতার কচুরিই পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের জঙ্গি মাহিকে। কলকাতা স্টেশনের বাইরে খাবার কিনতে গিয়েছিল ওই জঙ্গি। বন্ধুদের ওই হাল দেখে কোনওরকমে সে গা-ঢাকা দিয়েছিল।
[যোগীর রাজ্যে আক্রান্ত গণমাধ্যম, প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা সাংবাদিককে]
আল কায়দা তথা আনসার বাংলা টিমের জঙ্গি উমর ফারুক ওরফে মাহি। দূর থেকে দুই সঙ্গী সামশাদ মিঞা ও রিয়াজুলকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়তে দেখে মাহি। তারপর একেবারে পগারপার। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। পরে উত্তরবঙ্গ হয়ে নেপাল যাওয়ার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় এই জঙ্গি। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে তিনবার পুলিশের চোখ এড়িয়ে সে বেঁচে গিয়েছিল। তার মধ্যে দু’বার বাংলাদেশে। প্রথমবার ঢাকার মিরপুরে এক অধ্যক্ষকে ছুরি ও সায়ানাইড ইঞ্জেকশন দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছিল মাহি। সেসময় পুলিশ খবর পেয়ে ঘিরে ফেলে ওই এবিটি জঙ্গিদের। অন্য দুই এবিটি জঙ্গি রুবেল ও সোহেল বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের গুলিতে জখম হয়। কিন্তু পালিয়ে যায় মাহি। দ্বিতীয়বার সে মোতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের চোখে ধুলো দেয়। মাহি তার শ্যালিকার বিয়ের সম্বন্ধ এনেছিল সাহাদ নামে এক এবিটি জঙ্গির সঙ্গে। মোতিঝিলে ছিল বিয়েবাড়ি। মাহি কনেকে নিয়ে অপেক্ষা করেছিল বিয়েবাড়িতে। শেষ মুহূর্তে গোপন আস্তানা ছেড়ে বিয়ে করতে রওনা দেয় সাহাদ। এই খবর পৌঁছে যায় বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে। রাস্তাতেই গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে যায় সাহাদ। তার থেকে পুলিশ জানতে পেরে ওই বিয়েবাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু সাহাদের গ্রেপ্তারির খবর পৌঁছে যায় মাহির কাছে। পুলিশ বিয়েবাড়ি ঘেরার আগে সে উধাও হয়ে যায়।
[অরুণাচল-কাশ্মীর ভারতের বাইরে, ভূগোলের ম্যাপ দেখিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির]
কিছুদিন আগে কলকাতা স্টেশনে অস্ত্র পাচারকারী মনোতোষ দে ওরফে জিয়ারুলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল তিন জঙ্গি সামশাদ, রিয়াজুল ও মাহি। মনোতোষের সঙ্গে কথা বলছিল সামশাদ ও রিয়াজুল। তাদের জন্য স্টেশনের বাইরে কচুরি আনতে যায় মাহি। বন্ধুদের ওই হাল দেখে কচুরির প্যাকেট হাতেই হেঁটে বেরিয়ে যায় সে। সোজা চলে যায় হাওড়ার হোটেলে। সেখানে থেকে মাহি দুর্গাপুর হয়ে পালায় শিলিগুড়িতে। কুখ্যাত এই জঙ্গিকে জেরা করে আরও তথ্যের খোঁজে রয়েছেন গোয়েন্দারা।