Advertisement
Advertisement

Breaking News

Frauds Arrest

সই জাল করে কলকাতা পুরসভায় চাকরির নামে নতুন জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ৩

বহুদিন ধরেই এই জালিয়াতি চক্র চলছিল। আগেও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

Three frauds held for duping people impersonating as KMC employees | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:July 9, 2021 8:57 pm
  • Updated:July 9, 2021 8:57 pm

অর্ণব আইচ: ফের কলকাতা পুরসভায় (KMC) চাকরি দেওয়ার নাম করে জালিয়াতির অভিযোগ। ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে এক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। সেই অভিযোগেই রাজীব মল্লিক, জয়দেব সরকার ও সিদ্ধার্থ সাহা নামে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একই ধরনের অভিযোগে ওই তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জেল হেফাজতে ছিল তারা। ফের তাদের তিনজনকে মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, কিরণ যাদব নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় রাজীব মল্লিকের। রাজীব আসলে পুরকর্মী। যদিও দীর্ঘদিন পুরসভার অফিসে না যাওয়ার ফলে বেতন পায় না সে। রাজীব নিজেকে কলকাতা পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে ওই যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। চাকরির জন্য মোট ৭০ হাজার টাকা লাগবে বলে জানায়। এর মধ্যে ১৪ হাজার টাকা রাজীব তার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলে। অনলাইনে সেই টাকা জমা দেন ওই চাকরিপ্রার্থী। এর পর সে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে আরও ১৫ হাজার টাকা ও নগদে ২১ হাজার টাকা নেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক মমতার, তৃণমূলে বড়সড় রদবদলের জল্পনা]

এরপর কিরণের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুর কমিশনারের জাল সই করা একটি নিয়োগপত্র। বলা হয়, আরও ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার আগেই কিরণ যাদব কলকাতা পুরসভার অফিসে চাকরিতে যোগদান করতে যান। তখনই জানা যায় যে, ওই নিয়োগপত্রটি ভুয়ো (Fake)। এর মধ্যেই কিরণ জানতে পারেন যে, কিছুদিন আগে অরবিন্দ ভুঁইয়া নামে চাকরিপ্রার্থী এক যুবককে একইভাবে প্রতারণা করেছে এই চক্রটি। রাজীব ওই চক্রের মাথা। সে টাকা তোলে। চক্রের অন্য দু’জন জয়দেব সরকার ও সিদ্ধার্থ সাহা পুর কমিশনারের সই জাল থেকে শুরু করে পুরসভার ভুয়ো লেটারহেট, জাল স্ট্যাম্প তৈরি করে। ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরি করে তারা দেয় রাজীবকে।

Advertisement

ঘটনা জানতে পেরেই কিরণ যাদব নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শুক্রবার আগের মামলাটিতে রাজীব ও তার সঙ্গীদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তাদের পুরনো ওই মামলায় বিচারক ১৫ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবীরা তাদের নতুন মামলায় পুলিশ হেফাজতে চান। তাদের নতুন জালিয়াতির মামলায় ফের গ্রেপ্তার ও পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। আরও কতগুলি জালিয়াতির সঙ্গে এই চক্রটি জড়িত, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: সিটি কলেজে ভুয়ো টিকাকরণ ক্যাম্পের মামলায় ফের পুলিশ হেফাজতে দেবাঞ্জন দেব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ