Advertisement
Advertisement
Partha Chatterjee

‘ব্যাপম থেকে কফিন’, ‘ওয়াশিং মেশিন’ বিজেপিকে পালটা দুর্নীতি অস্ত্রেই বিঁধছে তৃণমূল

একযোগে বাম-বিজেপি-কংগ্রেসকে পালটা আক্রমণ তৃণমূলের।

TMC counters opposition on Partha Chatterjee's arrest | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 23, 2022 7:32 pm
  • Updated:July 25, 2022 12:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে বিজেপিকে পালটা আক্রমণের পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। যে দুর্নীতি অস্ত্রে বিজেপি-সহ বিরোধীরা রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণের ছক কষছে, সেই দুর্নীতিকেই অস্ত্র করল তৃণমূল। এরাজ্যের শাসকদলের দাবি, যে বিজেপির আমলে রাজ্যে রাজ্যে দুর্নীতি। ব্যাপম থেকে কফিন সবেতে কেলেঙ্কারি, সেই বিজেপির এ নিয়ে বলার কোনও অধিকার নেই।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর তাঁকে নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে এদিন একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ এবং অরূপ বিশ্বাস। তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে একুশের সমাবেশ দেখে ভয় পেয়ে ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। তাছাড়া যে মহিলার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। পার্থবাবুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেটা আদালতে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনওরকম ব্যবস্থা তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেন গ্রেপ্তার হলেন পার্থ? কী এই এসএসসি দুর্নীতি? জেনে নিন]

এরপরই একযোগে বিজেপিকে আক্রমণের পথে হাঁটেন তৃণমূল নেতারা। ফিরহাদ হাকিম বলেন, দু’মাস আগে এই মামলায় ইডির তদন্ত শুরু হয়েছে। এই দু’মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে গেলে কোনও তদন্ত হত না।” কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যদি ভোরবেলা সিবিআই যেতে পারে, তাহলে শুভেন্দুর বাড়িতে যাবে না কেন? নারদের এফআইআরে তো তাঁর নাম রয়েছে? কুণালের সুর ধরেই ফিরহাদের প্রশ্ন, “সারদা কর্তা নিজে চিঠি লিখে বলছেন শুভেন্দু টাকা নিয়েছে। তাহলে সেটার ভিত্তিতে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? একই মামলায় আমার বাড়িতে ভোরবেলায় এজেন্সি এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। অথচ শুভেন্দু ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে গিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিচারব্যবস্থায় আস্থা, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছে না তৃণমূল]

তৃণমূল এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেস কারও এ নিয়ে কথা বলা সাজে না। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপির এক সর্বভারতীয় সভাপতিকে প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় বলছেন দলের অন্দরে কামিনি কাঞ্চনের খেলা চলছে। সেটারও তো তদন্ত হওয়া উচিত। কোথায় সিবিআই? কফিন থেকে ব্যাপম ওদের আগাগোড়া দুর্নীতিতে মোড়া। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে নিজেদের আড়াল করছে। আর সিপিএম? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজে বলেছিলেন এই চোরেদের মন্ত্রিসভায় থাকতে চাই না। বেঙ্গল ল্যাম্প থেকে ট্রেজারি কেলেঙ্কারি, কোন কেলেঙ্কারি হয়নি বাম আমলে? আর কংগ্রেস দ্বিচারী। ইডি যখন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীকে ডাকেন তখন সারা দেশে প্রতিবাদ করেন। আর ইডি তৃণমূলের কোনও নেতাকে ডাকলেই শূন্য পাওয়া নেতারা লাফান।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ