Advertisement
Advertisement

Breaking News

উপনির্বাচনে পাঁচ আসনই জয়ের লক্ষ্যে তৃণমূল

নজর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও৷

TMC starts preparations for By-Election
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 24, 2016 8:45 am
  • Updated:October 24, 2016 8:45 am

বিশেষ সংবাদদাতা: সংখ্যাটি তিন নয়, পাঁচ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য, এই পাঁচ আসনের উপনির্বাচনেই জয়লাভ করা৷ সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি, তিন দলের বিরুদ্ধে একা লড়েই৷

আগামী ১৯ নভেম্বর রাজ্যের দুই লোকসভা ও এক বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন৷ একই দিনে ত্রিপুরায়ও দুই বিধানসভা আসনের ভোট৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের তিন আসনে বিধানসভা ভোটের চেয়েও ভাল করতে হবে৷ পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও মানুষ পরিবর্তন চাইছে৷ উপনির্বাচন থেকেই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে৷

Advertisement

শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় জিতে মন্ত্রী হওয়ায় তমলুক লোকসভা আসনে উপনির্বাচন৷ সেখানে শাসক দলের প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী৷ অন্যদিকে কোচবিহার লোকসভা আসনের তৃণমূল সাংসদ ও মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের আচমকা মৃত্যুতে দুই আসনে অকাল ভোট৷ নিজেদের হাতে থাকা এই তিন আসনে জিততে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল৷ প্রচারে নেমে পড়েছেন নেতৃত্ব৷ রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিধানসভা ভোটের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যাওয়ার সুফল এই নির্বাচনে তৃণমূল পাবে৷ জয়ের পথে কোনও সমস্যা হবে না৷

Advertisement

যদিও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, উপনির্বাচনের প্রচারে কোনও ত্রুটি না রাখতে৷ কীভাবে প্রচার হবে তার রণকৌশলও ছকে দিয়েছেন নেত্রী৷ অন্যদিকে ছন্নছাড়া অবস্থা বিরোধী শিবিরে৷ প্রদেশ সভাপতি চাইলেও বাম প্রার্থীদের কংগ্রেস সমর্থন দেবে কি না, তা চূড়ান্ত হয়নি এখনও৷ সেই সুযোগ নিয়ে এই ভোটেই তৃণমূলের বিকল্প হতে উঠতে চাইছে বিজেপি৷ সবমিলিয়ে মমতার উন্নয়নকেই হাতিয়ার করে যখন তৃণমূল প্রচারে নেমে পড়েছে, তখন বিরোধীরা শুরুতেই পিছিয়ে৷

ত্রিপুরার পরিস্থিতি ভিন্ন৷ বাংলার বিধানসভা ভোটের পর ত্রিপুরার রাজনৈতিক ছবি রাতারাতি বদলে গিয়েছে৷ সিপিএম চিন্তিত, কংগ্রেস ভেঙে চূর্ণ৷ তৃণমূল ক্রমশ বামফ্রণ্ট সরকারের বিকল্প হয়ে উঠছে৷ ৯ আগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্তাবল মাঠের সভায় নজিরবিহীন ভিড় হয়েছিল৷ ওই সভা থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরাতেও বাম শাসনের অবসানের ডাক দেন৷ তারপরই আচমকা এই উপনির্বাচন এসে পড়ায় সুযোগ কাজে লাগাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দীপা কর্মকারের রাজ্যের নবগঠিত তৃণমূল কংগ্রেস৷

উপনির্বাচন হবে খোয়াই ও বড়জলা বিধানসভা আসনে৷ খোয়াই বামেদের শক্ত ঘাঁটি৷ সেখানে ডাকাবুকো নেতা মনোজ দাসকে তৃণমূল প্রার্থী করে দেওয়ায় লড়াই জমে গিয়েছে৷ অন্যদিকে বড়জলা থেকে এতদিন জিতেছে কংগ্রেস৷ কিন্তু দলের সব বিধায়ক সমীর রায় বর্মনের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দিলেও এই আসনের বিধায়ক জিতেন সরকার সিপিএমে চলে যান৷ বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন তিনি৷ এর ফলে উপনির্বাচন৷ ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাসকে৷

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ৷ দলের তরফে এখন ত্রিপুরায় ঘাঁটি আগলে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়৷ তিনি রবিবার আগরতলায় বলেন, “কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই৷ বামফ্রণ্টের সঙ্গে এখানে এখন লড়াই তৃণমূলের৷ দু’টি আসনেই ভাল ফলের আশায় আমরা লড়ছি৷” মুকুলবাবু আরও বলেন, “ত্রিপুরা রাজ্যে যেমন এক বছর পর বিধানসভা ভোট আছে তেমনই ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনও হবে৷ বাংলার ৪২টি ও ত্রিপুরার ২টি আসনে জোড়াফুলের প্রার্থীরা কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে৷ দিল্লিতেও পরিবর্তনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সেই প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ