সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই শহরের বহু মানুষ তাঁকে চেনেন নীলাশা নামে। মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমে তাঁর নিত্য আসা-যাওয়া। ‘জামাই রাজা’ সিরিয়ালের চেনা মুখ। সেই শহরেই নিজের কলেজ চত্বরের কাছেই হেনস্তার মুখে পড়লেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। ফেসবুক লাইভ চলাকালীন এই ঘটনার পরই প্রাসঙ্গিক এক প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী- কেন শুধু মেয়েদের উপর নানারকমের বিধিনিষেধ, নিয়ন্ত্রণ?
[ মিলল না জামিন, আজ রাতটাও জেলেই কাটবে সলমনের ]
ঠিক কী ঘটেছিল ঘটনাটি? শুটিংয়ের কারণে নিয়মিত কলেজে যাওয়া হয় না। একদিন সুযোগ পেয়ে তাই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চেয়েছিলেন শ্রীমা। বাগবাবাজার উইমেন্স কলেজের ছাত্রী তাঁরা। কলেজে বিশেষ গল্প করা যায় না। তাই বান্ধবীদের নিয়ে কলেজ থেকে একটু দূরে বাগবাজার ঘাটের কাছে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ফেসবুক লাইভ করে বান্ধবীদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিচ্ছিলেন। সে সময়ই কিছু যুবক সেখানে চলে আসেন। তাঁদের দাবি, শ্রীমা ও তাঁদের বন্ধুরা যেন সেখানে না থাকেন। কারণ জানতে চাইলে বলা হয়, পাঁচ বছর আগে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছিল ওই জায়গায়। তারপর থেকে এই জায়গায় কারও আসার অনুমতি ছিল না। ছেলেদেরও আসার অনুমতি ছিল না। যদিও এ কথা কোথাও ওই তল্লাটে লেখা নেই। কারওর জানাও নেই, কারণ শ্রীমা ও তাঁর বন্ধুদের দাবি, আগে তাঁরাই এই এলাকায় এসেছিলেন। তখন যুবকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, ‘উইমেন্স কলেজের মেয়েরা এখানে কী করতে আসে জান না?’ যুবকরা জানায়, কলেজ ছাত্রীরা মদ-গাঁজা খেতে এখানে আসে। যুবকদের মধ্যে একজন শ্রীমাকে চিনতেও পারে। যদিও তাতে সুরাহা কিছু হয়নি। যতক্ষণ না অভিনেত্রী জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেন, ততক্ষণ এই হেনস্তা চলতেই থাকে। শুধু সাবধান করার জন্যই যুবকদের এই তৎপরতা বেশ চোখে পড়ার মতো। যেভাবে নাছোড়বান্দার মতো যুবকরা অভিনেত্রী ও তাঁর বন্ধুদের পিছনে পড়েছিলেন, তা তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়েই রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
[ ‘কবীর’-এর প্রচারে আসরে এসটিএফ! ব্যাপারটা কী? ]
ফেসবুক লাইভেই তাই একটি প্রশ্ন তোলেন শ্রীমা। বলেন, ‘আমরা এমন একটা দেশে বাস করি, যেখানে মেয়েদের কোথাও যাওয়া মানা। কেন বারণ থাকে কেউ জানে না। হয়তো কেউ সিগারেট খেয়েছিল। তাই বলেই কি বারণ? একটা ছেলের যেমন অধিকার আছে, মেয়েদেরও তো সেই অধিকার আছে। আমরা খারাপ কাজ কিছু করছি না। সাধারণভাবেই দাঁড়িয়ে গল্পগুজব করছি। কিন্তু তাতেও আপত্তি। কেন এই ভেদাভেদ? ছেলেরা রাস্তায় রাত বারোটা পর্যন্ত আড্ডা দিতে পারে, মেয়েরা করলেই তারা খারাপ? মেয়েরাও তো আড্ডা দিতে ভালবাসে। তাতে আপত্তির কী আছে?’ ছেলেদের কাছেও আবেদন জানান, কোথাও যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তাহলে যেন তার প্রতিবাদ করা হয়। পাশাপাশি মেয়েদেরও সাবধানে থাকতে বলেন অভিনেত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.