Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্ত্রীর গর্ভে অন্যের সন্তান, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে এমন রিপোর্টে চৌপাট ভালবাসা

সুবিচার পেতে হাই কোর্টের স্বারস্থ স্বামী।

Valentine’s Day shocker! Man tumbles on wife illicit affair
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 14, 2018 9:11 pm
  • Updated:February 14, 2018 9:11 pm

স্টাফ রিপোর্টার: প্রেম দিবসের দিনই প্রেম ভেঙে চৌচির!

শেষ পর্যন্ত সন্দেহটাই সত্যি হল! নিজের বিবাহিত স্ত্রীর গর্ভে অন্য কারও সন্তান। হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে প্রেম নিবেদন দিবসে এমনই হৃদয় বিদারক খবর পেয়ে রীতিমতো বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন ফরাক্কার শুভঙ্কর ঘোষ।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল?

Advertisement

২০১৭-র ৩ ফেব্রুয়ারি নলহাটির মৌসুমি ফুলমণির সঙ্গে বিয়ে হয় ফরাক্কার শুভঙ্কর ঘোষের। লাভ ম্যারেজ নয়, দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় দু’জনের। ঘটনার সূত্রপাত সেই থেকে। বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্মী শুভঙ্কর বলেন, “বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি আসার দিনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বউ। ঘন ঘন বমি, মাথা ঘোরা-সহ একাধিক শারীরিক অসুস্থতা ছিল।” বিয়ের তিন দিন পর স্ত্রী প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান শুভঙ্করবাবু। চিকিৎসক ইউরিন টেস্ট করানোর পরামর্শ দেন। সেইমতো দমদম ক্যান্টনমেন্টের গোরাবাজারে ‘আশা ডায়গনোস্টিক’ নামক একটি ডাইগনোস্টিক ল্যাবে স্ত্রীর প্রেগনেন্সি সংক্রান্ত টেস্ট করান শুভঙ্কর।

[আরও কাছাকাছি দুই বাংলা, হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি রেলপথ মার্চেই]

১৬ ফেব্রুয়ারি টেস্ট রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট তখন হাতে না পেলেও শুভঙ্করবাবু জানতে পারেন, স্ত্রী মাস খানেকের অন্তঃসত্ত্বা। আকাশ থেকে পড়েন তিনি। তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফিরে যান। সেখানে গিয়ে আরেক বিপত্তি। দেখেন, স্ত্রী পালিয়েছে। কাউকে কিছু না বলে আশা ডায়গনোস্টিক ল্যাবের ওই রিপোর্ট, টাকা ও গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বাপের বাড়ি। স্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে নলহাটিতে তাঁর বাপের বাড়িতে গেলে আরেক বিপত্তি। দেখা যায় ইতিমধ্যেই শুভঙ্কর ও তাঁর বাড়ির লোকজনের নামে বধূ নির্যাতনের মামলা করেছে স্ত্রী মৌসুমি। এরপর একরকম বাধ্য হয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনে জঙ্গিপুর আদালতে বিয়ে ভাঙতে মামলা দায়ের করেন শুভঙ্কর।

ওই মামলাটি চলছে। কিন্তু সেই মামলায় প্রমাণ্য নথি হতে পারে যে রিপোর্ট, সেটিই যে নেই শুভঙ্করের কাছে। আশা ডায়গনোস্টিক সেন্টার শুভঙ্করকে রিপোর্টের কপি দিতে অস্বীকার করে। শুভঙ্করের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরি বলেন, “ওই ডায়গনোস্টিক সেন্টার রিপোর্ট দিতে অস্বীকার করায় নিয়ামক সংস্থা ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে আবেদন করেন শুভঙ্কর। কিন্তু সেখানেও কিছু হয়নি। বাধ্য হয়েই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।” বুধবার মামলার শুনানিতে আশিসবাবু বিষয়টি উল্লেখ করার পর আশা ডায়গনোস্টিক সেন্টারকে অবিলম্বে ওই রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি বসাক। আদালতের নির্দেশের পরই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন শুভঙ্কর। আপাতত সুবিচারের আশায় আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি।

[শহরে প্রকাশ্যে ধর্মান্তকরণ কর্মসূচি হিন্দু সংহতির, খবর সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ