Advertisement
Advertisement

প্রয়াত বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী

সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালে দুঃসবাদ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।

Veteran actor Supriya Devi passes away
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 26, 2018 3:06 am
  • Updated:January 26, 2018 5:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালে দুঃসবাদ। প্রয়াত হলেন সুপ্রিয়া দেবী। দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। তবে শুক্রবার সকালে হৃদরোগে সব শেষ।

[জনপ্রিয়তা কমছে মোদির, সেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা]

Advertisement

১৯৩৩ সালে তৎকালীন বর্মায় জন্ম হয় সুপ্রিয়া চৌধুরীর। পরবর্তীতে যিনি পরিচিতি হন সুপ্রিয়া দেবী  এবং বেণুদি হিসাবে। সুপ্রিয়া দেবীর কন্যা সোমা চট্টোপাধ্যায় জানান এদিন সকাল ছটা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়।ভোরের দিকে তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। তারপরই ঘটে বিপত্তি। ডাক্তারারা জানান স্ট্রোক।  অনেক দিন ধরে তিনি কোমর, কিডনি-সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সকালের অ্যাটাক এমন পর্যায়ে ছিল যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগটুকু মেলেনি।প্রথমে এই ঘটনা বাড়ির লোকজনও বুঝতে পারেননি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫। সাত বছর বয়সে বাবার হাত ধরে তাঁর থিয়েটারে আত্মপ্রকাশ।  প্রহ্লাদ দাসের কাছে নাচ শিখেছিলেন।সুপ্রিয়া দেবীর প্রয়াণে বাংলা চলচিত্র জগতে বড় অধ্যায়ের যবনিকা হল। এরপর একের পর এক কালজয়ী ছবি তিনি উপহার দেন। বাংলা ছবির দর্শকদের মনে জায়গা জুড়ে ছিলেন উত্তম-সুপ্রিয়া জুটি। ১৯৫২ সালে ‘বসু পরিবার’ ছবিতে উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করে পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ। এরপর  তাঁর ‘সোনার হরিণ’, ‘বাঘবন্দি খেলা’, ‘চিরদিনের’  ‘চৌরঙ্গি’  ‘বনপলাশির পদাবলী’, ‘সন্ন্যাসী রাজা’ , ‘দেবদাস’, ‘দুই পুরুষ’ বাংলা ছবির যেন একের পর এক মাইলস্টোন। ‘মেঘে ঢাকা তারা’ সিনেমায় তাঁর অনবদ্য অভিনয় ভুলতে পারেন না সিনেমাপ্রেমী মানুষ। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৪৫টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন । পাশাপাশি কিছু ধারাবাহিকে দাপটের সঙ্গে তাঁর অভিনয় জায়গা করে নিয়েছে বাঙালি দর্শকদের মনে। পদ্মশ্রী থেকে বঙ্গবিভূষণ। একাধিক সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন।

Advertisement

[পদ্ম সম্মানে উজ্জ্বল ৫ বঙ্গসন্তান, সম্মানিত ধোনি]

কিংবদন্তি অভিনেত্রীর প্রয়াণে মর্মাহত বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ। প্রিয় অভিনেত্রীকে হারিয়ে বিহ্বল তাঁর অনুরাগীরা। আসলে সুপ্রিয়া দেবী যে সময় চলচ্চিত্র জগতে এসেছিলেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে থেকে এসে এই শহরে থিতু হয়েছিলেন। তাঁর পরিবার ছিল এমন যারা বাইরে থেকে এসে প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। পরিবারের ভাবধারা সুপ্রিয়া দেবীর প্রগতিশীল মনন তৈরির জায়গা করে দেয়। একবার সুপ্রিয়াদেবী বলেছিলেন সময় না ধরলে অতীত ধরা যাবে না। তিনি চলে গিয়ে হয়তো সেই কথাই নীরবে বলে গেলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ