সুব্রত বিশ্বাস: কয়লা পাচারে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে সোমবার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। গত বছরের শেষদিন, ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল, ৪ জানুয়ারি দুপুরের মধ্যে সিবিআই তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে হবে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। কিন্তু দুপুর গড়ালেও গরহাজির বিনয় মিশ্র। তাঁর বিরুদ্ধে এখন নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন সিবিআই কর্তারা।
ডিসেম্বরের শেষদিকে সিবিআই আধিকারিকরা ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের কলকাতার তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। একটি বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়। ওই দিনই তাঁকে ৪ জানুয়ারি নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছিল। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি হাজির হননি। গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে বিনয় নাকি দুবাইয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এবার তাঁকে নাগালে আনতে সিবিআই কী কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার।
এদিকে, কয়লা ও গরুপাচার (Cattle smuggling) কাণ্ডে যুক্ত বাঙ্গুরের আরেক ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়াও দুবাই গিয়েছিলেন। তবে তিনি শুক্রবার দেশে ফিরেছেন বলে খবর। গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙ্গুরের ফ্ল্যাট ও অফিসে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআই তিনবার নোটিস দিয়েছিল। কিন্তু বিদেশে থাকায় হাজির হতে পারছেন না, এই মর্মে কারণ দেখিয়েছিলেন তিনি। এরপর হঠাৎই গত শুক্রবার দেশে ফেরেন। কলকাতায় হাজির না হলেও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে এসে পড়ায় সমস্ত রকমের ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলেছে তদন্তকারী এই সংস্থা। সূত্রের খবর, কয়লা ও গরু পাচারের যাবতীয় টাকা হাওয়ালার মারফত গণেশের কাছে আসত। সেই টাকা গণেশের মাধ্যমে আবার কাদের কাছে পৌঁছত, এসব বিস্তারিত তথ্য তাঁর জানা।
একইভাবে কয়লাকাণ্ডে যুক্ত বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে যেত বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তাই বিনয় ও গণেশের যোগসূত্র সম্পর্কে নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভবনা রয়েছে। আর সে কারণেই উভয়কে নাগালে আনতে চাইছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.