Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

মাতৃহারার পাশে মমতা, গাড়ি থামিয়ে কাছা পরা দলীয় কর্মীর সঙ্গে কথা

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আপ্লুত সদ্য মাতৃহারা তৃণমূল কর্মী।

WB CM Mamata Banerjee talks with her party worker who lost his mother

(বাঁদিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং (ডানদিকে) পিন্টু মণ্ডল

Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 13, 2024 4:02 pm
  • Updated:March 13, 2024 4:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাতৃহারা দলীয় কর্মীর পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে গাড়ি থামিয়ে দলীয় কর্মীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আপ্লুত সদ্য মাতৃহারা তৃণমূল কর্মী।

হাবড়ার জনসভা সেরে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আকাশপথে উত্তরবঙ্গে রওনা দিতে ডুমুরজলা হেলিপ্যান্ড গ্রাউন্ডে যান তিনি। যাওয়ার পথে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই ভিড়েই ছিলেন হাওড়ার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী পিণ্টু মণ্ডল। গালজুড়ে কাঁচা-পাকা দাড়ি, চোখে চশমা। পরনে কাছা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গত পাঁচ বছরে বিক্রি হয়েছে ২২, ২১৭টি নির্বাচনী বন্ড, শীর্ষ আদালতে হলফনামা SBI-এর]

হেলিপ্যাডে ঢোকার মুখে গাড়িতে বসে তাঁকে দেখতে পান মমতা। গাড়ি থামিয়ে জেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পিন্টু তাঁর গাড়ির দিকে এগিয়ে আসেন। মমতা (Mamata Banerjee) সঙ্গে কয়েক মিনিট কথা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, “কে মারা গিয়েছেন?” পিন্টুবাবু জানান, সদ্যই মা মারা গিয়েছে তাঁর। মায়ের কত বয়স হল, তা প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৭৫ বছর বয়সে মাকে হারান বলেই জানান পিন্টু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। তার পর গাড়ি এগিয়ে যায় হেলিপ্যাডের উদ্দেশে।

Advertisement

বছর পঞ্চাশের পিন্টু দলের একনিষ্ঠ কর্মী। সাইকেলে চড়ে দোকানে দোকানে মালপত্র সরবরাহ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আসার খবর পেলেই তিনি ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে আসেন। যত কাজই থাকুক না কেন তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে মমতাকে অভ্যর্থনা জানান। ‘দিদি’র সঙ্গে কথা বলার সুযোগে আপ্লুত পিন্টু। তিনি বলেন, “আমার মতো একজন সাধারণ কর্মীকেও তিনি কাছে টেনে নিয়েছেন। এজন্যই উনি দিদি। এটা তাঁর পক্ষেই সম্ভব।”

বলে রাখা ভালো, রাজ্যবাসীর সুবিধায় একাধিক প্রকল্প রয়েছে রাজ্যে। মৃতদেহ সৎকারে ‘সমব্যথী’ প্রকল্প রয়েছে। ওই প্রকল্পে ২ হাজার টাকা পান উপভোক্তারা। আর তাছাড়া মমতার জনসংযোগের কৌশল বরাবরই অন্যরকম। কখনও তাঁকে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে মোমো তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। কখনও কারও বাড়িতে বসে চা খেয়েছেন মমতা। আবার কখনও কচিকাঁচাদের সঙ্গে মিশে চকোলেট হাতে তুলে দিতেও দেখা গিয়েছে। মমতার এহেন ব্যবহারকে সাধুবাদ দিয়েছেন সকলেই।

[আরও পড়ুন: ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে খুনের পর দেহ ট্যাঙ্কের নিচে পুঁতে প্লাস্টার! হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড নিমতায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ