ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নদী ভাঙন রুখে মানব জীবন ও সম্পদহানির স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সেচদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান করল প্রদেশ কংগ্রেস। অবস্থানই শুধু নয়, এই সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগের দাবিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনকী, নিজের দলের নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকেও স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমরা রাজ্য, কেন্দ্রকে একসঙ্গে এই সমস্যার কথা জানিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ এই সমস্যায় ভিটে-মাটি ছাড়া হচ্ছেন। এর সমাধান এভাবে না হলে এবার ৫০ জন প্রতিনিধি নিয়ে দিল্লি গিয়ে জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সামনে ধরনায় বসবে প্রদেশ কংগ্রেস। সেখানে থাকবেন ঘর-জমি হারানো মানুষও।”
অবস্থান চলাকালীনই একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে সেচ দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়ে আসে। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এদিন দপ্তরে ছিলেন না। ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনই তাঁকে মেদিনীপুর পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেখানে সেচদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কন্ট্রোল রুম খুলেছেন তিনি। প্রতি ঘণ্টায় সেখানকার আপডেট নিচ্ছেন, দরকারমতো পরিস্থিতি নিজে সরেজমিন করছেন। তারই মধ্যে তাঁর দপ্তরের সামনে প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান ও স্মারকলিপি দেওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন চুক্তি হয়েছিল ফারাক্কা ব্যারেজের উপরে ৪০ কিলোমিটার আর নিচে ৮০ কিলোমিটার কেন্দ্র সরকার দেখভাল করবে। ঠিক ছিল তার ৭৫ শতাংশ দেবে দিল্লির সরকার। সেটা কমতে কমতে ৬০-৪০ অনুপাতের কথা বলে। মুখ্যমন্ত্রী তাতেও রাজি হন। কিন্তু তার পর থেকে কেন্দ্র একটা টাকাও দেয়নি।”
এই বঞ্চনা নিয়ে যে রাজনৈতিক দলই হোক, তাদের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে বলে জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আসল লড়াইটা তো দিল্লির বিরুদ্ধে করতে হবে। যদি বাংলাকে ভালবেসা নিরেট হয়, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, দুই মেদিনীপুরকে ভালোবাসা নিরেট হয় তাহলে পতাকা নিয়ে মিছিল করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জন করুক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.