Advertisement
Advertisement
Governor CV Anand Bose

‘শ্বেত হস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল, একক নিয়ন্ত্রণ মানব না,’ বিস্ফোরক ব্রাত্য

ফের মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার উদ্যোগ শুরুর ইঙ্গিতও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

WB education minister slams Governor CV Anand Bose as white elephant | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 14, 2023 1:49 pm
  • Updated:April 14, 2023 1:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) রাজ্যপাল হয়ে আসার পর রাজভবন এবং শিক্ষাদপ্তরের মধ্যে যে সমন্বয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, সেটা এখন পুরোপুরি অতীত। পুরোদস্তুর সংঘাতের মেজাজে রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তাঁকে সোজা সাদা হাতির সঙ্গে তুলনা করে বসলেন। শুধু তাই নয়, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার উদ্যোগ শুরুর ইঙ্গিতও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। 

আসলে চলতি সপ্তাহেই রাজ্যপাল রাজ্যের অধীনস্থ দুই বিশ্ববিদ্যায়ে আচমকা পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। একই দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’বার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) একবার পরিদর্শনে যান তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, তাঁর এই সফর সম্পর্কে না রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর, না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কাউকেই জানানো হয়নি। এ বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে ব্রাত্য বলে দিয়েছেন, রাজ্যপাল নিজের খেয়ালখুশি মতো কাজ করছেন। শ্বেত হস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: তিন বছর পর ইডেনে ফিরছে নাইটরা, রাসেলের শততমের মঞ্চে বিরাট-মায়ার প্রতীক্ষা]

ব্রাত্যর সাফ কথা, শিক্ষাব্যবস্থায় রাজ্যপাল বা রাজভবনের নিয়ন্ত্রণ কোনওভাবেই রাজ্য সরকার মেনে নেবে না। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, রাজ্যপাল ইচ্ছামতো উপাচার্য নিয়োগ করছেন। কাকে নিয়োগ করছেন, বলছেন না। আমাকেও বলছেন না। মুখ্যমন্ত্রীকেও বলছেন না। একক নিয়ন্ত্রণ মেনে নেব না।” শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, ইচ্ছা করে রাজ্যের আচার্য নিয়োগ বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে বলছে, কোনও রাজ্যপাল দু’সপ্তাহের বেশি কোনও বিল আটকে রাখতে পারে না, সেখানে ১০ মাস রাজ্যের আচার্য নিয়োগ বিল আটকে রাখা হয়েছে। হয় সই করুন, নয় ফেরত পাঠান।”  ব্রাত্যর সাফ ইঙ্গিত, সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকার সমন্বয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি তাতে অনীহা দেখাচ্ছেন।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশের করোনা গ্রাফে বড় লাফ, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৫ হাজারের বেশি]

উল্লেখ্য, জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীন রাজভবন এবং শিক্ষা দপ্তরের দূরত্ব চরমে উঠেছিল। এমনকী ধনকড়কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সেই পদে আনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। সিভি আনন্দ বোস আসার পর রাজ্যের তরফেই তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা দেওয়া হয়। সেই সুসম্পর্ক কি এবার ইতি পড়তে চলেছে? ব্রাত্যর নয়া পদক্ষেপে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ