কৃষ্ণকুমার দাস: বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। সূচনা ভাষণে বাংলার ঢালাও প্রশংসা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, সদ্য শেষ হওয়া বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যপালের ‘বদলে যাওয়া’ রূপেই রেগে আগুন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিৎকার করে রাজ্য়পালকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি।
এমনিতে নবান্ন ও রাজভবনের মতানৈক্য নতুন নয়। কিন্তু এদিন রাজ্যপাল প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যকে। এদিন তিনি বিধানসভায় বলেন, “আর্থিক অপ্রতুলতা এবং কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার আমাদের গ্রামীণ ভাইদের জন্যে কর্মসংস্থান ও আবাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থেকে পিছু হটেনি। এবং সম্পূর্ণরূপে নিজস্ব তহবিল থেকে কর্মশ্রী ও বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু করেছে। আমি সরকারের প্রাণবন্ত ও সহৃদয় নেতৃত্বের প্রতি সম্পূর্ণভাবে আস্থাশীল। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে এই রাজ্য সমস্ত ক্ষতিকর ও নেতিবাচক সংকট পরাস্ত করে এক প্রতিশ্রুতিময় আগামী দিনের লক্ষ্যে অগ্রসর হবে।”
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলারও ভূয়সী প্রশংসা করেন সিভি আনন্দ বোস। বলেন, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, দীপাবলি, ইদ, বড়দিন, বুদ্ধজয়ন্তী, গুরুনানক জয়ন্তী, মহাবীর জয়ন্তী, ছটপুজো, গঙ্গাসাগর মেলা-সহ অন্যান্য সবকটি প্রধান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়েছে।” যদিও সরস্বতী পুজো নিয়ে যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর মতো দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত কলেজে অশান্তি তৈরি হয়। বাগদেবীর আরাধনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। তবে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে বারবার দাবি করেছে শাসক শিবির। এই পরিস্থিতিতে বোসের প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রাজ্যের একের পর এক প্রশংসা শুনে স্বাভাবিকভাবে বিরক্ত হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমতো চিৎকার করে ওঠেন। কারও কারও মতে, বেশ উদ্ধত ভঙ্গিমায় রাজ্যপালকে চুপ করতে বলেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই আচরণে স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিধানসভায় বসে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সামনে এহেন আচরণ মোটেও শোভনীয় নয় বলেই মনে করছেন প্রায় সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.