সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির আইনজীবীর গরহাজিরার কারণে কলকাতা হাই কোর্টে পিছিয়ে গেল পঞ্চায়েত মামলা৷ আজ, বুধবার সকালে হাই কোর্টের পঞ্চায়েত মামলার শুনানি ছিল৷ কিন্তু, বিজেপির তরফে আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার৷ আজ, মামলার শুনানি না হওয়ার কারণে ফের আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মামলার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত৷
এদিন তৃণমূলের তরফে আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের গতকালের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে৷ গতকালের নির্দেশ বাতিল ঘোষণা করার পাশাপাশি বিজেপির তরফে তথ্য গোপনেরও অভিযোগ তোলেন কল্যাণবাবু৷ একই ইস্যুতে বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে আদালতের সঙ্গে প্রতারণা ও তথ্য গোপনের অভিযোগও তোলেন তিনি৷ মন্তব্য করেন, ‘একই বিষয়ে বিজেপি হাই কোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে৷ একই বিষয়ে দু’টি মামলা করে বিজেপি আদালতের সঙ্গে প্রতারণা ও তথ্য গোপন করছে৷ আর সেই কারণে ওরা আজ আদালতে হাজির হতে পারেনি৷’
[নতুন বিজ্ঞপ্তি জারিতে নারাজ কমিশন, বাড়বে না মনোনয়নের সময়সীমাও]
আদালত সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরের দিনই সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টেও একই কারণে মামলা করেছে বিজেপি, তাই হাইকোর্টে এই মামলা করা যায় না। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এই ব্যাপারটি বুধবার সকালে আদালতে উল্লেখ করতে বলেন কল্যাণকে। সেই মতো আজ বুধবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে এই বিষয়টি উল্লেখ করেন। কিন্তু বিজেপির কোনও আইনজীবী বা প্রতিনিধি সেই সময় উপস্থিত ছিলেন না আদালতে।
[মামলা দায়ের করতে গিয়ে এজলাসের মধ্যেই হেনস্তার শিকার বিজেপির আইনজীবী]
আদালত সূত্রে খবর, বুধবার সকালে কমিশন ও তৃণমূলের তরফে মামলায় হাজিরা দেওয়া হলেও গরহাজির ছিলেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপির তরফে একই বিষয়ে দুটি মামলা দায়ের নিয়েও ক্ষোভ প্রাকাশ করেন বিচারপতি৷ বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় দল কীভাবে তথ্য গোপন করে মামলা দায়ের করেন তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি৷ বিজেপির আইনজীবী অনুপস্থিতি না থাকার কারণে বুধবার মামলা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় আদালত৷ বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়৷ মামলার দিনক্ষণ সবপক্ষকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতের তরফে তৃণমূলকে ভ্যাকেটিং অ্যাপ্লিকেশন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ওই নির্দেশের জেরে আগামীকাল কখন মামলা রয়েছে ও মামলার বিষয়বস্তু জানিয়ে বিজেপির কলকাতার দপ্তরে ফ্যাক্স পাঠানো হয়৷ এমনকি, তা নির্বাচন কমিশনকেও পাঠানো হয় বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।