সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা ও সিকিম থেকে বাহিনী আসছে রাজ্যে৷ রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি, অন্তত দু’হাজার ভিন রাজ্যের বাহিনী পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা দায়িত্বে মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ অন্ধ্রপ্রদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী আসবে৷ অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য, ডিজি সুরজিৎ পুরকায়স্থ ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা৷ কলকাতা হাই কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার নিষ্পত্তি হাওয়ার পর এই প্রথম ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে বসেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা৷
নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের বাহিনী চেয়ে আগেই অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা ও সিকিম সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ মেনেও নেয় চার রাজ্যের প্রশাসন৷ সূত্রের খবর, প্রথমে ১০ হাজার বাহিনী চাওয়া হলেও পরে দু’হাজার বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়৷ তবে, ভিন্ রাজ্য থেকে বাহিনী মোতায়েন করা হলেও ভোটের কাজে তাদের কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷
[ভোটের দিন প্রতিরোধের ডাক দিলীপের, কমিশনের সমালোচনায় রাহুল]
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা ইস্যু এখন ঠিক কী অবস্থায়? প্রশাসন সূত্রে খবর, এবার ভোটে মোট বুথ সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪৬৭৷ কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩৪ শতাংশ বুথে এবার ভোটই হচ্ছে না। ফলে ভোট হবে ৪৭ হাজার ৪৫১টি বুথে৷ কমিশনকে রাজ্য জানিয়েছে প্রতিটি বুথে এক জন করে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
এছাড়াও এবার মোট ৪৩ হাজার ৬৭টির মধ্যে ৩৪ হাজার ৮৯২টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এরমধ্যে একই কেন্দ্রে একাধিক বুথ রয়েছে এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৪০০। ১২৮৩৫টি এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে যেখানে মাত্র দু’টি বুথ আছে। সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একজন সশস্ত্র পুলিশ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর। রাজ্য কমিশনকে জানিয়েছে, তাদের হাতে ৪৬ হাজার সশস্ত্র পুলিশ রয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। সেখান থেকে মিলবে প্রায় ১২ হাজার পুলিশ৷
[‘শ্রীকৃষ্ণ যদি অন্যায় না বলেন, অনুব্রতর দোষ কোথায়’, কেষ্টকে আড়াল মদনের]
যদিও, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি ও বিরোধীদের দুর্বল সংগঠনের উপর ভর করে বিনা লড়াইয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে জয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল৷ ফলে, বাকি ৬৬ শতাংশ আসনে ভোট হবে৷ এই কেন্দ্রগুলিতে বাহিনী মোতায়েন করাটা খুব একটা বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয় রাজ্যের৷ মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই বাইরে থেকে কম সংখ্যক বাহিনী আনানোর বিষয়ে ভাবছে রাজ্য৷