Advertisement
Advertisement

ব্রিগেড ভরানোর লোকবল নেই, ধর্মতলাতেই সভা করবে প্রদেশ কংগ্রেস

তৃণমূলের সঙ্গে জোটে অনীহা, এআইসিসিকে জানালেন সোমেনরা।

WBPCC announce rally in Dharmatala
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 13, 2018 7:16 pm
  • Updated:November 13, 2018 7:16 pm  

রাহুল চক্রবর্তী: ব্রিগেড ভরানোর মতো ক্ষমতা নেই। দল এখন যথেষ্ট দুর্বল। তাই রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ে সমাবেশ করে লোকসভা ভোটের আগে অস্তিত্ব জানান দেবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সমাবেশে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আনার চেষ্টা করছে প্রদেশ কংগ্রেস। ১২ ডিসেম্বর এই সমাবেশ থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে আক্রমণ শানাবে কংগ্রেস। মঙ্গলবার প্রদেশ ভবনে দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকের আগে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সভাপতি সোমেন মিত্র। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, যেখানে তৃণমূল-সিপিএম ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে, বিজেপি রাজ্যে রথযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে কংগ্রেসের কর্মসূচি কী? উত্তরে দলের অবক্ষয়ের কথা স্বীকার করে নেন সোমেনবাবু। বলেন, ‘দল এখন দুর্বল। ব্রিগেড সমাবেশ ভরানোর মতো ক্ষমতা এখন নেই। তাই রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ে সমাবেশে দলের একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা হবে।” রাহুল গান্ধী না আসতে পারলে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদকে আনা হবে সভায়।

দলভাঙনের রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে বাংলায় অস্তিত্ব সংকটে শতাব্দী প্রাচীন দলের। যে হারে নির্বাচিত বিধায়ক, নেতা-কর্মীরা দল ছাড়ছেন তাতে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের তকমা ধরে রাখাও এখন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের পক্ষে। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সঙ্গে লোকসভায় জোটে যেতে নারাজ প্রদেশ নেতৃত্ব। এই বিষয়ে দলে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছেন প্রদেশ নেতারা। তা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও জানিয়েছেন সোমেন মিত্র। কিন্তু এদিন তিনি বলেন, ‘এআইসিসি যা সিদ্ধান্ত নেবে তা আমরা মেনে নেব। কিন্তু সবার আগে এই বির্পযয় থেকে নিজেদের মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। একক ক্ষমতায় রাজনীতির ময়দানে লড়তে হবে। আত্মসম্ভ্রম বজায় রেখে দল ভোটে লড়বে। যে শাসকদল আমাদের নেতাদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার অনিচ্ছা হাইকমান্ডকে জানিয়েছি।’

Advertisement

[‘নেতা হওয়া নয় মুখের কথা’! প্রিয়রঞ্জনের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট সোমেনের]

এদিন রাফালে কেলেঙ্কারি, মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কংগ্রেসের পাশে না পাওয়ার জন্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন তিনি। দেশজুড়ে বনধের সময়ও তৃণমূল সমর্থন দেখায়নি। রাফালে ইস্যুতেও যখন রাহুল গান্ধী গোটা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন তখন তৃণমূল কেন চুপ? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাই নিজেদের অনিচ্ছার কথা প্রকাশ করে যাবতীয় সিদ্ধান্ত এআইসিসি-র হবে বলেই জানিয়েছেন সোমেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement