সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারী নির্যাতন হোক বা দুর্নীতি, আমরা আশা রাখি যেকোনও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আগে আওয়াজ তুলবে নাগরিক সমাজ। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজ কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারছে তা নিয়ে নানান সময়েই বিতর্ক ওঠে। সেই বিতর্ক আরও বেশি জোরদার করতে পারে সিএমএস-ইন্ডিয়া কোরাপশন স্টাডি ২০১৮-র সমীক্ষা। যেখানে দেখানো হয়েছে যেকোনও রকমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বা আওয়াজ তুলতে ততটা বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে না রাজ্যের নাগরিক সমাজ।
[গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারে মৃত্যু পড়ুয়ার, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের]
এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও একই তালিকায় স্থান পেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ। এই সমস্ত রাজ্যগুলির নাগরিক সমাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে বা প্রতিবাদ করতে গড়রাজি। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, যেকোনও রকমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, বিহার ও তেলেঙ্গানার নাগরিক সমাজ। পাশাপাশি সমীক্ষায় প্রকাশিত তথ্যে দেখা গিয়েছে, দেশের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য তামিলনাড়ু। তারপরেই রয়েছে, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও গুজরাট।
[বন্ধুকে খুনের অভিযোগে শহরের বহুতল থেকে ধৃত গুয়াহাটির হোটেল ব্যবসায়ী]
সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, ৭৫ শতাংশ সাধারণ মানুষ তাদের বলেছেন, জন পরিষেবার ক্ষেত্রে গত একবছরে ব্যাপক বেড়েছে দুর্নীতির পরিমাণ। নিজেদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, রাস্তা বা বাড়ি তৈরির অনুমতি পাওয়া থেকে শুরু করে গাড়ির লাইসেন্স বা সামান্য আধার কার্ড করাতে গেলেও তাদের দিতে হয়েছে ঘুষ। এর আওতা থেকে ছাড়া পড়েনি চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থা। স্কুলে বাচ্চার ভর্তি হওয়া বা অত্যাধুনিক চিকিৎসা পাওয়া, সবক্ষেত্রেই মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমনকি অনেকক্ষেত্রে, থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও সম্মুখীন হতে হচ্ছে এমন অভিজ্ঞতার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.