সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাইফোঁটা দেওয়ার ফাঁকে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কয়েকটি ওষুধ খাওয়ারও পরামর্শ দেন। বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দেখে চমকে যান সবাই। জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র? বিষয়টির জেরে অস্বস্তিতে পড়েন রাজ্য বিজেপি নেতারাও। যদিও দিলীপ ঘোষ থেকে মুকুল রায় একসুরে এই ঘটনাকে ব্যক্তিগত ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও তাতে কিছু যায় আসেনি রাজ্যবাসীর। মমতার সঙ্গে শোভনবাবুর কী কথা হল তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে আলোচনা!
[আরও পড়ুন: মানবিক মুখ্যমন্ত্রী! উৎসবের মরশুমে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে সাহায্য সরকারের]
সূত্রের খবর, আজ দুপুর একটা কুড়ি মিনিটে গোলপার্ক থেকে বন্ধু বৈশাখীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রাক্তন মেয়র। ১টা ৪৫ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছন। তাঁদের দেখে চমকে যান সেখানে থাকা তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বিষয়টিতে অবাক হলেও শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দু’জনকে ডেকে ঘরে নিয়ে যান। সেখানে ঢুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বৈশাখী। হাতে ধরিয়ে দেন চকোলেট ভরতি একটি বাক্স। যা দেখে নাকি মুখ্যমন্ত্রী ইয়ার্কি মেরে বলেন, ‘এত চকোলেট নিয়ে কী করব? তোরা কি আমার সুগার বাড়াতে চাইছিস?’
[আরও পড়ুন:ভাইফোঁটায় বড় চমক, বৈশাখীকে নিয়ে মমতার বাড়িতে শোভন]
বৈশাখীর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম করে তিনি কেমন আছেন তা জানতে চান শোভনবাবু। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভাল আছেন জানিয়ে শোভনবাবুর শরীর কেমন আছে তা জানতে চান। কথা প্রসঙ্গে তাঁর ভুঁড়ি বেড়েছে বলেও জানান। যদিও তা মানতে চাননি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। উলটে তিনি জানান, গত কয়েকমাসে তার সুগার বেড়েছে আর ওজনও সাত-আট কেজি কমেছে। এই কথা শুনে সুগার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাঁকে কিছু ওষুধের নাম বলে সেগুলি নিয়ম করে খেতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।