গোবিন্দ রায়: যেমন কথা, তেমন কাজ। সোমবার আর জি কর মামলার সাজা ঘোষণার পরপরই অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সময় এতটুকুও নষ্ট না করে মঙ্গলবার দিনের প্রথমার্ধ্বেই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত হাই কোর্টে আবেদন জানান। সূত্রের খবর, মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে।
সোমবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিচারক অনির্বাণ দাসের যুক্তি ছিল, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। তাই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হল না। সাজা শুনে আমজনতার সিংহভাগের মতো অখুশি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, “আমরা প্রথম দিন থেকে ফাঁসির দাবি করেছিলাম। এখনও তাই করছি। এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।” পরে তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ কাণ্ডের সাজা ঘোষণায় আমি হতবাক। আদালতের মনে হয়নি এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। বিচারালয় কীভাবে সিদ্ধান্তে উপনীত হল? আমি বিশ্বাস করি এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। এই ঘৃণ্যতম অপরাধে দোষীর ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত। আমরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হব।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। এরপর মঙ্গলবার আদালত খুলতেই সঞ্জয়ের সাজা নিয়ে শিয়ালদহ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। ফাঁসির সাজার দাবি জানানো হয়েছে। শুনানির দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। অন্যদিকে, আজীবন কারাবাসের সাজা থেকে মুক্তির আবেদন নিয়ে সঞ্জয়ও হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.