BREAKING NEWS

৭ আশ্বিন  ১৪৩০  সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

আরও চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক আচার্য করার ভাবনা

Published by: Sayani Sen |    Posted: December 24, 2021 2:47 pm|    Updated: December 24, 2021 4:49 pm

West Bengal govt mulls removing Governor Jagdeep Dhankhar as university Chancellor । Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবার নয়, পরপর দু’বার। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেননি রাজ্যের বেসরকারি কলেজের উপাচার্য এবং আচার্যরা। তাতে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। রাজ্যের পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ বলে টুইটে উল্লেখও করেছেন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যপালকে পালটা জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাময়িক আচার্য করার ভাবনার কথা জানান তিনি।

শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আরও একবার অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “এমন আচার্য থাকলে শিক্ষাজগতের অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ হওয়ার কথা। আমাদের ভাগ্য ভাল যে আমরা দ্রুতগতিতে শিক্ষার উন্নতি করতে পারছি। উনি শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেন না। সারাক্ষণ বেআইনি কাজ করেন। একটা প্রস্তাব পাঠালে হিমঘরে পাঠিয়ে দেন। কোনও সদর্থক, কোনও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। সবসময় শুধু হুমকি দেওয়ার প্রবণতা। ইউজিসি দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। আগে সিবিআই, ইডি দিয়ে হুমকি দেওয়া হত।”

[আরও পড়ুন: পরকীয়ার টান? ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে উধাও পিংলার গৃহবধূ, ঘনাচ্ছে রহস্য]

দিনের পর দিন ‘অসহযোগিতা’ চললে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে সংক্রান্ত পরবর্তী ভাবনাচিন্তার কথাও জানান শিক্ষামন্ত্রী। কেরলের রাজ্যপালের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করা যায় কিনা, সে বিষয়ে সাংবিধানিক ও আইনি দিক খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজন হলে আইনজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও জানান ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালের একের পর এক টুইট খোঁচাকে ‘শিস’ দেওয়া বলেও তোপ দাগেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। বাংলার শিক্ষার প্রসার হোক তা কি চান না, রাজ্যপালের উদ্দেশে সে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ব্রাত্য বসু।

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে রাজ্যপালের। একাধিকবার রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে তোপ দেগেছেন জগদীপ ধনকড়। প্রশাসনিক, শিক্ষাক্ষেত্র এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপাচার্যদের বৈঠকে ডেকেছেন একাধিকবার। কেউ সেই বৈঠকে অংশ নেননি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকা হলেও পরপর দু’বার অংশ নেননি কেউ। তা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তার পালটা জবাব দিতে গিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত যে আরও একবার চরমে উঠল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

[আরও পড়ুন: বড়দিনে কলকাতায় আরও দুই উৎসব, শুরু হচ্ছে বাংলা সংগীত মেলা ও বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসব]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে