Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal health commission

PPE পরতে ৩০ মিনিট! রোগী মৃত্যুতে হাসপাতালকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা স্বাস্থ্য কমিশনের

২০২০ সালের মে মাসে ঘটে মূল ঘটনাটি।

West Bengal health commission fined Hospital for delay in treatment | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 4, 2021 9:21 pm
  • Updated:February 4, 2021 9:21 pm

অভিরূপ দাস: অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে ছটফট করতে করতেই মারা গেল রোগী। চিকিৎসা মেলেনি। কতক্ষণ? রোগীর পরিবার বলছে ৪০ মিনিট। হাসপাতাল বলছে ৩০। হাসপাতালের যুক্তি দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন (West Bengal health commission)। কমিশন চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের রোগী। শ্বাস নিতে পারছে না। আধঘন্টা তো তাঁর কাছে সোনালী সময়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করতে হতো! ঘটনায় সল্টলেকের কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে স্বাস্থ্য কমিশন।

২০২০ সালের মে মাসের ঘটনা। পূর্ব কলকাতার বাসিন্দা এস.কে ভট্টাচার্য ডায়ালিসিস করতে গিয়েছিলেন সল্টলেকের কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালে। তাঁর কন্যা দেবশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাবা ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করেন। সেই সুবাদে অধিকাংশ নার্স স্টাফ বাবাকে চিনতেন। ডায়ালিসিস করে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। শ্বাসকষ্ট হতে থাকে তাঁর। বাড়িতে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মেপে দেখা যায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তৎক্ষণাৎ রোগীকে নিয়ে ফের কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালে যাওয়া হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছলেও ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। রোগীকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সেই শুয়ে ছিলে রোগী। ৪০ মিনিট পর নেতিয়ে পড়েন তিনি। ডুকরে কেঁদে ওঠেন মেয়ে। সেসময় দৌড়ে আসেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে হাসপাতাল বলছে রোগী এসেছিল ৯টা ৪০ এ। ১০ টা ১০ এ তাঁকে ভিতরে নিয়ে আসা হয়। কমিশনের জেরায় কলম্বিয়া এশিয়ার জেনারেল ম্যানেজার অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ঘটনার সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম না। ঘটনার কথা বলতে পারব না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হাসপাতালের গাফিলতিতে মৃত্যু শিল্পীর, ক্ষতিপূরণের টাকায় সংগীত শিখবেন মেধাবী ছাত্ররা]

বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মৃতের কন্যা জানিয়েছেন এই হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ অনেক। বাবাকে নিয়ে তিনি অন্যত্র যেতে চাইতেন। কিন্তু পুরনো পেশেন্ট হওয়ায় বাবার একটা অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস ছিল হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর। যাদের উপর এত বিশ্বাস তাঁদেরই সাহায্য মিলল না শেষ সময়ে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক ডা. অংশুমান করের যুক্তি, “রোগীর কোভিড উপসর্গ ছিল। PPE পরতে একটু সময় লেগেছে।” এই ‘একটু সময়’ নিয়েই রুষ্ট কমিশন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ