সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই এপ্রিল থেকে বকেয়া মেটায়নি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। অনেকের পাওনার অঙ্ক কোটি টাকার গণ্ডি ছাড়িয়েছে। আধিকারিকদের কাছে দরবার করেও লাভ হচ্ছে না। বকেয়া টাকা মেটানোর কোনও ইঙ্গিতই মিলছে না সরকারের তরফে। ফলে মহাসংকটে রাজ্যের একাধিক ওষুধ সরবরাহকারী এবং প্রস্তুতকারী সংস্থা। যা পরিস্থিতি তাতে দ্রুত স্বাস্থ্যদপ্তর টাকা না মেটালে, এই সংস্থাগুলিকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হবে। যেটা কিনা এই মুহূর্তে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় চরম সংকট তৈরি করতে পারে।
একটু পরিষ্কার করে বলা যাক, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনমতো ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। পরে, এই ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর দাম সংস্থাগুলিকে মিটিয়ে দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর (Department of Health & Family Welfare)। কোন কোন সংস্থা এই ওষুধ সরবরাহ করবে, তা ঠিক করা হয় দরপত্রের মাধ্যমে। এতদিন সব ঠিকই চলছিল। গোল বেঁধেছে করোনা (Coronavirus) আবহে। ওষুধ সরবরাহকারীদের অভিযোগ মহামারী আবহে অন্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর দাম মেটানোর ক্ষেত্রে উদাসীন স্বাস্থ্যদপ্তর। সেই এপ্রিল মাস থেকে তাঁরা নিজেদের পাওনা টাকা পাননি। এমনকী, গত আর্থিক বছরের বকেয়া টাকার একটা বড় অংশও এখনও পরিশোধ করেনি সরকার। ক্যানসার, ডায়াবিটিসের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যানাস্থেটিক, গ্লাভস, পেসমেকার এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর দাম বাবদ একটা বড় অঙ্কের টাকা বকেয়া পড়ে আছে মেডিক্যাল কলেজগুলির কাছে। অথচ, স্বাস্থ্যদপ্তর নাকি এই ওষুধগুলি কিনছে ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাপ্রুভাল’ দেখিয়েই।
শোনা যাচ্ছে, এপ্রিল মাস থেকে কলকাতার পাঁচটি বড় হাসপাতালে ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ বাবদ বেসরকারি সংস্থাগুলির প্রাপ্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। যা এখনও মেটায়নি স্বাস্থ্যদপ্তর। আবার, প্রশাসন সূত্রের খবর বাজেটে কোনওরকম কোনও সমস্যা নেই। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাপ্রুভালে জিনিস কেনার কিছু দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির টাকা পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেন পাচ্ছে না? এর উত্তর কারও জানা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.