Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিয়ের সাত দিনের মধ্যে বধূর রহস্যমৃত্যু

পণের জন্যই কি অষ্টমঙ্গলার আগেই মরতে হল কাজলকে?

Wife allegedly murdered for dowry
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 20, 2016 2:10 pm
  • Updated:December 20, 2016 4:56 pm

স্টাফ রিপোর্টার, বিধাননগর: মঙ্গলবার বাপের বাড়িতে অষ্টমঙ্গলায় আসার কথা ছিল বাগুইআটির গৃহবধূ কাজল বর্মনের৷ কিন্তু বিয়ের সাতদিনের মাথায় উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ৷ অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দশ লক্ষ টাকার পণের দাবিতে তাঁকে হত্যা করেছে৷ বাগুইআটি থানায় এফআইআর করেছেন কাজলের বাপের বাড়ির সদস্যরা৷ আটক করা হয়েছে কাজলের স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে৷

গত ১৩ ডিসেম্বর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লিঙ্কন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের কাজলের৷ বিয়ে হয়েছিল বেশ ঘটা করেই৷ কিন্তু তারপরই যেন কালরাত্রি নেমে আসে কাজলের জীবনে৷ অভিযোগ, বৌভাতের দিন ১৫ ডিসেম্বর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে ২৮ বছরের কাজলের ঝামেলা শুরু হয়৷ কাজলের দাদা তপন বর্মনের অভিযোগ, ১০ লক্ষ টাকা পণ চেয়ে তার বোনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল৷ বৌভাতের দিন থেকেই তাঁর বোনের উপর মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে৷

Advertisement

এই ঝামেলার কথা জানতে পেরে গত ১৭ ডিসেম্বর তপনবাবুরা তাঁর বোনের শ্বশুরবাড়ি অশ্বিনীনগরে যান৷ তপনবাবুরা তখন শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে সমঝোতা করে নেওয়ার চেষ্টা করেন৷ কাজলকেও সেটা বলে আসেন তপনবাবু৷ সেই সময়ই কাজল তাঁর দাদা তপনের কাছে পণের দাবি ও সেই কারণে নির্যাতনের প্রসঙ্গ তোলেন৷ মঙ্গলবার অষ্টমঙ্গলায় কাজলের সোদপুরে বাপের বাড়িতে আসার কথা ছিল৷ তপনবাবুর অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যাবেলায় তিনি তাঁর বোনকে ফোন করলে বোন প্রচণ্ড কাঁদে৷ কাঁদতে কাঁদতে বলে, তাঁকে যেন সোদপুরে বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কাজলের সঙ্গে ফোনে কথা বলার এক ঘণ্টা পরই কাজলের স্বামী লিঙ্কন দাস তপনকে ফোন করেন৷ লিঙ্কনের বক্তব্য ছিল, কাজলের প্রচণ্ড শরীর খারাপ, তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ তার পর ফের ফোন করে জানান, কাজলকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷

Advertisement

লিঙ্কনের মুখে এই কথা শোনার পরই কাজলের বাপের বাড়ির লোক সোদপুর থেকে অশ্বিনীনগরের দিকে রওনা হন৷ কাজলের শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাঁর স্বামী লিঙ্কন জানায়, কাজল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন৷ তবে কাজলের দাদা তপনবাবুর অভিযোগ, বোনের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ কিন্তু গলায় দড়ির কোনও দাগ নেই৷ কাজলের পরিবারের তরফে সোমবার রাতেই বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজলের স্বামী রাজারহাটে একটি বেসরকারি সংস্থার ক্যাম্পাসে কাজ করেন৷ লিঙ্কনের বাবা-মা আগে বিদেশে থাকতেন, বর্তমানে অশ্বিনীনগরেই থাকেন৷ কাজলের পরিবারের অভিযোগ, লিঙ্কনের বাবা-মাও পণের দাবিতে কাজলের উপর মানসিক নির্যাতন করেছিল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ