অর্ণব আইচ: বয়সে স্বামীর চাইতে প্রায় ২০ বছরের বড় স্ত্রী। অভিযোগ, সেই সুবাদেই স্বামীর উপর রীতিমতো অত্যাচার চালাতেন মহিলা। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েও রেহাই মিলল না। বাড়িতে ধরে এনে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বামীর দু’টি কানই কেটে নিলেন ওই মহিলা। কোনওমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। চাঞ্চল্য ছড়াল নারকেলডাঙার নর্থ রোডে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আক্রান্তের পরিবারের।
[এবার ফেসবুকে লাইভ দেখানো হবে মমতার একুশের ভাষণ]
নারকেলডাঙার নর্থ রোডের কসাই বস্তি সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা বছর কুড়ির মহম্মদ তনবীর। বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় তাঁর। স্ত্রী মুমতাজ বিবি বয়সে প্রায় ২০ বছরের বড়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তনবীর। পাড়া-প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বয়সে ছোট স্বামীর উপর রীতিমতো অত্যাচার চালাতেন মুমতাজ। বাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তনবীরের। তাঁকে মায়ের সঙ্গে দেখাও করতে দিতেন না মুমতাজ। বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তনবীর। কিন্তু প্রতিবারই তাঁকে ধরে আনত মুমতাজের লোকজনেরা। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল, যে ছেলেকে বাঁচাতে বাড়ি বিক্রি করে বৌমাকে টাকা দিতেও রাজি ছিলেন তনবীরের মা। কিন্তু, তনবীরকে ছাড়েননি মুমতাজ।
দিন কয়েক আগে ফের বাড়ি থেকে পালিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুরে চলে যান তনবীর। ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে আসে স্ত্রী। বেধড়ক মারধর করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে দুটি কান কেটে নেয় মুমতাজ ও তাঁর বোনেরা। কান থেকে তখন গলগল করে রক্ত পড়ছে। কোনওমতে পালান তনবীর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোহগ তুলেছে আক্রান্তের পরিবার। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত মুমতাজ বিবিকে গ্রেপ্তার করা তো দূর অস্ত, এফআইআরের কপি পর্যন্ত দেয়নি নারকেলডাঙা থানা। কিন্তু, ৪০ বছরের মুমতাজ বিবিকে কেন বিয়ে করলেন ২০ বছরের মহম্মদ তনবীর? ওই যুবকের দাবি, তাঁর দাদার এক বন্ধুই তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। বাধ্য হয়েই মুমতাজকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন তিনি।
[আরও বড় হচ্ছে বি আর সিং হাসপাতাল, আধুনিক হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা]