স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবার শীতের উষ্ণতম দিন! বুধবারই এক লাফে শহরের তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার আরও ৩ ডিগ্রি চড়ল পারদ। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকেও যা ৩ ডিগ্রি বেশি।
[বৃদ্ধার কাতর আর্তিতে সাড়া, বিলাসীর চিকিৎসার ভার নিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর]
কেন এমনটা হল? প্রশ্নের উত্তরে আবহবিদদরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কেটে যাওয়ার ফলেই কলকাতার আবহাওয়ার এমন দশা। এতদিন যেখানে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল, ঠান্ডা কাবু করে রেখেছিল গোটা কলকাতাকে, সেই তাপমাত্রাই লাফিয়ে কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গেল। আবহাওয়ার এমন আচমকা পরিবর্তন রীতিমতো প্রভাব ফেলেছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। সকাল থেকে যার জেরে কার্যত গায়ে ঘাম দিতে শুরু করেছে কলকাতাবাসীর।
মাঝ মাঘে আবহাওয়ার এমন অবনতির জেরে নানা শারীরিক অসুস্থতাও দেখা দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল সাধারণতন্ত্র দিবসে তাপমাত্রা আবার কিছুটা পড়তে পারে। তবে তাও নামমাত্র। কিন্তু বৃহস্পতিবার যে হারে পারদ চড়ল, সেই সম্ভাবনাও দেখছে না আলিপুর হাওয়া অফিস। তার মধ্যে আচমকা এই পারদ চড়ার ফলে গরমের রোদ গায়ে পড়তেই বেশ হাঁসফাঁস দশা শহরবাসীর। ট্রেন, বাস, ট্রামে রীতিমতো সোয়েটার খুলে যাত্রীদের বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। মেট্রোতেও প্রায় একই ঠাসাঠাসি দশা। এই অবস্থায় আপাতদৃষ্টিতে ঠান্ডা কমছে মনে হলেও এই পরিস্থিতি মোটেই সুবিধাজনক নয় বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা।
[বন্দরে কুখ্যাত দুষ্কৃতী খুনে বিহার থেকে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন]
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা অতর্কিতে অসুখ ডেকে আনতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই সময় বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন তাঁরা। দিনেরবেলায় সোয়েটার ছাড়া থাকলেও সকাল ও রাতে কিন্তু ঠান্ডার আঁচ রয়েছে। তাই সে সময় সোয়েটার গায়ে থাকা বাঞ্ছনীয়। আর কান-মাথাও ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[মুখ্যমন্ত্রীর ডি লিট ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা খারিজ কলকাতা হাই কোর্টের]