সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহর জুড়ে একের পর এক শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেই চলছে। কখনও দিনের আলোয় রাজনৈতিক নেতারা কলেজের ছাত্রীকে রেপ করার হুমকি দিচ্ছে, তো কখনও আবার ভর সন্ধেবেলায় যাদবপুরের রাস্তায় ছাত্রীকে বলা হচ্ছে, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে নির্ভায়ার মতো হাল করে দেব।’ এমতাবস্থায় রাত সাড়ে দশটায় সল্টলেকের মতো এলাকায় তরুনীর উপর চড়াও হবে কয়েকটি ছেলে এটা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ঘটনাটি ঠিক সেরকম নয়। আসল ঘটনা জানলে আপনারও হাড় হিম হয়ে যেতে বাধ্য।
[বারান্দায় ঝুলছে বৃদ্ধার মৃতদেহ, দেখে শিউরে উঠল নাগেরবাজার]
তখন রাত প্রায় সাড়ে দশটা। এক তরুণ এবং তরুণী কাজ সেরে ফেরার পথে সল্টলেকের টেকনো ইন্ডিয়া কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। ঠিক সেই সময় কলেজের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে একদল ছাত্র এবং একটি ছাত্রী। বেরিয়ে এসেই ওই তরুণ এবং তরুণীকে গল্প করতে দেখে, প্রথমে তাঁরা অশ্লীল মন্তব্য করতে শুরু করে। তখন ওই তরুণী বিরক্ত হয়ে তাঁদের কিছু বলতে গেলে তারা মারমুখি হয়ে ওঠে। এরপর তাঁদের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকার লোক সেখানে জড়ো হয়ে গেলে ভয়ে ছেলে-মেয়েগুলো পালিয়ে যায়। যদিও তাঁদের মধ্যে অভিজিৎ গোস্বামী নামে এক ছাত্রকে ধরে ফেলেন ওই তরুণী এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধাননগর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তাঁদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই কলেজের ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে বাঁকুড়ার বাসিন্দা কৌশিক রায়ের নাম। জানা যায়, সে ওই ঘটনার পরই ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। যদিও তার বন্ধুদের থেকে খবর পেয়ে শুক্রবারই আসানসোল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিধাননগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, সল্টলেকের মতো শিক্ষিত এলাকায় এরকম ঘটনা সত্যি অবিশ্বাস্য। এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আগামী কয়েকদিনে বাকিদেরও ধরে ফেলা হবে।
[খিদিরপুরে মেলার দোলনা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম নাবালিকা, ভরতি ICU-তে]